|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বিশিষ্ট মানবদরদী, সাহিত্যরসিক, কৃষিবিজ্ঞানী, অতিথিবৎসল উদ্যোগপতি প্রয়াত গণপতি বসুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন উৎসবের সূচনা হলে রবিবার। গণপতি বসু জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এবং গণপতি বসু স্মৃতি সমাজ কল্যাণ সমিতির সহযোগিতায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সূচনা হয় রবিবার সকালে মেদিনীপুর সদর ঘাটে গণপতি বসু স্মৃতি উদ্যানে অবস্থিত গণপতি বসুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে।
এরপর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সদরঘাট থেকে গণপতি নগরে অবস্থিত গণপতি বসুর বাগানবাড়ি ও সমাধিস্থল পর্যন্ত যায়।ওখানে গণপতি বসুর সহধর্মিণী শিবানী বসুর আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন হয়। পাশাপাশি ওখানে একটি বট গাছের চারা রোপণ করা হয়।মূর্তির পাশেই বাঁধা মঞ্চে প্রাতঃকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণা ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয় গণপতি বসু স্মৃতি উদ্যানে।বসু পরিবারের পক্ষে সবাইকে স্বাগত জানান চন্দন বসু। সকাল ও সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উপস্থিত ছিলেন জন্মশতবর্ষ কমিটির সভাপতি সঙ্গীতগুর জয়ন্ত সাহা, মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ সম্পাদক জিষ্ণুদেবানন্দজী মহারাজ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান,কার্যকরী সভাপতি মদন মোহন মাইতি, বিশিষ্ট লোক সংস্কৃতি গবেষক ড.মধুপ দে,উদ্যোগপতি বজরংলাল আগরওয়ালা, মেদিনীপুর কলেজ প্রাক্তন অধ্যক্ষ মুকুল রঞ্জন রায় ও বর্তমান অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র বেরা, আর এন এল কে মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড.প্রভাকর সেনগুপ্ত, গড়বেতা কলেজের অধ্যক্ষ ড.হরিপ্রসাদ সরকার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত পুরাতত্ত্ববিদ্ মহঃ ইয়াসিন পাঠান, আহ্বায়ক কৃষ্ণপ্রসাদ মাইতি, প্রাক্তন অধ্যাপক কুমারেশ ঘোষ, অধ্যাপক সত্যরঞ্জন ঘোষ, চিকিৎসক ডাঃ গোলক বিহারী মাজী, ডাঃ হৃষিকেশ দে,সাহিত্যিক বিমল গুড়িয়া, সাহিত্যিক বিদ্যুৎ পাল, সঙ্গীত শিল্পী বিশ্বেশ্বর সরকার, সম্পাদক তপন দাস, কোষাধ্যক্ষ তারাপদ দে, নাট্যব্যক্তিত্ব দুলাল আঢ্য, সুরজিৎ সেন,কবি সিদ্ধার্থ সাঁতরা, প্রাক্তন অধ্যাপক শিবাংশু বসু,বাচিক শিল্পী অমিয় পাল,যুগ্ম সহকারী সম্পাদক শিবদেব মিত্র ও ফয়সাল হোসেন সহ, চিত্রশিল্পী অচিন্ত্য মারিক, সঙ্গীতশিল্পী আলোক বরণ মাইতি, রথীন দাস,আধ্যাপক শান্তনু পান্ডা, প্রধান শিক্ষক প্রসূন কুমার পড়িয়া, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা নূপুর ঘোষ,, সমাজকর্মী রীতা বেরা,রাজশ্রী মন্ডল, সুদীপ্তা দে, তারাপদ পাল, সুনীল রানা, শান্তনু হালদার,ছড়াকার প্রদীপ দেব বর্মন, সমাজকর্মী নন্দদুলাল ভট্টাচার্য,নিত্যানন্দ পান্ডা, সত্যজ্যোতি অধিকারী,শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া, সুভাষ জানা,মৃত্যুঞ্জয় সমান্ত,অমিত কুমার সাহু,মণিকাঞ্চন রায়, নরসিংহ দাস, সুব্রত মহাপাত্র, শুভ্রাংশু শেখর সামন্ত,সৌনক সাহু, চিত্তরঞ্জন মুখার্জি।বাচিক শিল্পী মালবিকা পাল,রত্না দে, নরোত্তম দে ,পাঞ্চালি চক্রবর্তী, মৈথিলী ঘোষ, নৃত্যশিল্পী রাজনারায়ণ দত্ত,শ্রাবণী দত্ত, শাশ্বতী শাসমল, সমাজকর্মী রাজ্যশ্রী মন্ডল, সুদীপ্তা দে , পারমিতা সাউ,পূর্ণেন্দু শেখর কালী, চলচিত্র নির্মাতা অরিজিৎ সিনহা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শুভদীপ বসু, সহযোগিতা করেন রীতা বেরা।