|
---|
আজিজুর রহমান,গলসি : ২২ নভেম্বর ২০২১ পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসির ভাসাপুরে কাছে ডিভিসি সেচ ক্যানেলের উপরে থাকা পুরাতন সেতুটির বেহাল দশা। যেকোন সময় বিপদ ঘটতে পারে বলে দাবী স্থানীয় মানুষজনের। স্থানীয়দের থেকে জানতে পারা গেছে, সেতুর চাতালের এক অংশ বসে গিয়েছে। পাশাপাশি কয়েক জায়গায় সেতুর গায়ে সিমেন্টের গার্ড রেলিং ভেঙে পরেছে। কয়েক বছর পূর্ব থেকে এমন দশার পর পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে জানালেও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি প্রশাসন এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকার বাসিন্দা মহসিন মন্ডল বলেন, এটি বহু পুরাতন একটি সেতু। দীর্ঘদিন সেতুর কোন সংস্কার হয়নি। ফলে সেতুর দু’দিকের সিমেন্টের রেলিং বেশ কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে। নিচের রড বেরিয়ে ফাটলও ধরেছে সেতুর মাঝে। সেতুটি ভেঙে পরলে তাদের আশেপাশের দশটি গ্রামের মানুষ সমস্যায় পরবেন। এলাকার বাসিন্দা সেখ সেলিম বলেন, ১৯৫৮ সালে সেচ দপ্তর ওই সেতুটি নির্মান করেছিল। ওই সেতুর উপর দিয়ে পোতনা, ভাষাপুল, মনহরসুজাপুর, রাইপুর, আটপাড়া, শিড়রাই, পোতনা, খুরাজ, আমবহুলা, মল্লসারুল, সহ প্রায় দশটি গ্রামের মানুষ নিত্য যাতায়াত করেন। বর্তমানে প্রশাসন ওটিকে দুর্বল সেতু হিসাবে চিহ্নিত করে বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। তবে এখনও প্রযন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলে জানান তিনি। সেতুটি ভেঙে পরলে স্কুল কলেজের পড়ুয়া সহ বহু মানুষ সমস্যায় পরবেন। তার দাবী দ্রুত সেতুটি মেরামতের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। পোতনা গ্রামের বাসিন্দা অনুপ দত্ত আক্ষেপ করে বলেন, সেতুর মাঝখান নিচে দিকে বসে ঝুলে গেছে। আর তারজন্য তারা সবাই চিন্তায় পরেছেন। তিনি বলেন, ওই সেতুটির উপর দিয়ে নিত্যদিন তিনটি রুটের তিন চারটি বাস চলাচল করে। তাছাড়া দামদর নদ এলাকা থেকে বহু কৃষক ওই রাস্তায় সবজি নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে আসেন। কিছুদিন আগে সেতুর গায়ে পাইলিং করে মাটি ধরিয়েছে প্রশাসন। তবে তারপর আর কোন খবর নেই বলে জানান তিনি। তারদাবী সেতুটি যাত্রীবাহী বাসসহ ভেঙে পরলে বহু মানুষের প্রানহানী ঘটবে। মিলন সেখ নামে এক পথচারী বলেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের ছাত্র ছাত্রীরা গলসি, পুরসা, বুদবুদ ও বর্ধমানের বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়াশোনা করতে যায় ওই সেতু পার হয়ে। তাছাড়াও হাজার হাজার নিত্যযাত্রী, ব্যবসায়ী দৈনিক ওই সেতু পার হয়ে জাতীয় সড়কে ও স্টেশনে আসেন। সেতুটি ভেঙে পরলে স্থানীয় গ্রামগুলির মানুষদের রুজি-রুটির বেশই সমস্যা হবে। ওই বিষয়ে গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সেখ রোকেয়া বলেন, তিনিও ওই সেতু পার হয়ে নিত্যদিন অফিস যাতাযাত করেন। ইতিমধ্যেই সেতুর বিষটি নিয়ে তিনি জেলার উদ্ধোতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তাছাড়া তিনি বিধায়ক ও বিডিও সাথে আলোচনা করেছেন। পুর্ত দপ্তরের সহযোগিতায় যাতে সেতুটি দ্রুত সংস্কার হয় তার জন্য তিনি সবরকম চেষ্টা করবেন।