গলসিতে ভবঘুরের নিত্য খাবার যোগাচ্ছেন সিভিক, পুজোয় দিলেন নতুন বস্ত্র

আজিজুর রহমান, গলসি :- নতুনগতি – গলসি এলাকার ব্যস্ততম একটি জায়গা ২ নং জাতীয় সড়কের পারাজ মোড়। সেখানে নিত্যযাত্রীদের জন্য রয়েছে একটি প্রতিক্ষালয়। প্রায় তিন মাস গরিয়ে গেল সেই মোড়ের বাসযাত্রীদের প্রতিক্ষালয়ে ঠাঁই নিয়েছে এক ভবঘুরে। সবাই তাকে সুনীল নামেই চেনে। প্রতীক্ষালয় থেকে সে অন্য কোথাও না যাওয়ায়, এখন নিত্য তার খাবার জোগাচ্ছেন গলসি থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার অভিজিৎ ঘোষ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিয়মিত ডিউটির পর নিজের মোটর বাইকে করে সুনীলের খাবার এনে দিয়ে তবেই বাড়ি যায় অভিজিৎ। তাকে নিত্যদিন স্নানের পাশাপাশি চুল দাড়ি কাটিয়ে দেয় ওই সিভিক। তারা জানাই, ধীরে ধারে ওই বাসস্ট্যান্ডই এখন সুনীলের স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে। এদিকে বাংলা জুড়ে শুরু হয়েছে দূর্গাপুজো। পুজোর আনন্দ বিলিয়ে দিতে শনিবার সুনীলকে নতুন জামা কাপড় পরিয়ে দিলেন অভিজিৎ। এদিকে নিত্যদিন সুনীলের সকালে চা ও নাস্তার ব্যবস্থা করেন বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী গনেশ বাগদি সুকুমার কেশরা। কয়েক মাসধরে ওই সিভিকের নিত্য করা এমন কাজের প্রশংসা করেছেন বাসস্টান্ডের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী সুকুমার কেশ বলেন, তিনি এখানে একটি চা এর দোকান চালান। মাঝে মধ্যেই মুড়ি ঘুগনি চা খাওয়ান। তবে সিভিক অভিজিৎ কাজ শেষে নিয়মিত দুবেলার খাবার এনে দেয়। তিনি জানান, অভিজিৎ খুব ভালো মানুষ। সে ডিউটি সাথে সাথে এই মানবিক কাজ করছে। বাসস্ট্যান্ডের ফল বিক্রেতা গনেশ বাগদি বলেন, তিন মাস ধরে সুনিল নামে ওই ভবঘুরে এখানে আছে। আজকে আবার একজন ভবঘুরে এসে জুটেছে। সুনীল ঠিকঠাক নাম ঠিকানা বলতে পারেনা। এসে থেকেই বিশ্রাম ঘরে থাকে সে। পুজোর জন্য আজকে অভিজিৎ নতুন জামা প্যান্ট কিনে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই ভবঘুরেকে স্নান করতে সাবান ও তেল কিনে দেয় অভিজিৎ। নিজের ডিউটি করে হোটেল থেকে খাবার এনে দিয়ে নিত্যদিন সেবা করছে অভিজিৎ। সিভিক ভলেন্টিয়ারের এমন কাজের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় মানুষ থেকে বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ীরা। নিজের ডিউটি করার পরও যে এমন ভাবে অসহায় মানু‌ষেকে সাহায্য করা যায়, তা করে দেখাচ্ছেন গলসির সিভিক ভলেন্টিয়ার অভিজিৎ ঘোষ।