|
---|
আজিজুর রহমান, গলসি : লকডাউন থেকে দুস্থদের একবেলা খাবার দিচ্ছে গলসি তৃণমূল সংখ্যালঘু সেল। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সেখ বসিরউদ্দিন নেতৃত্বে গলসির দয়ালপুর গ্রামে শুরু হয়েছে লঙ্গর খানা। করোনা কালে লকডাউনের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের কাছে খাবার তুলে দিতেই এমন উদ্দোগ। এলাকায় কারও কারও ঘরে অভাব বাসা বেঁধেছে। অনেক মানুষের মুখে দুবেলা জুটছে না অন্ন। রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধে, লক ডাউন মানতে কেউ কেউ একবেলা খেয়ে একবেলা উপসে দিন পার করছেন। তাদের কথা মাথায় রেখে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের কর্মীরা এগিয়ে আসেন। শুরুতে ১০০ তারপর দুতিন দিনে তা বেড়ে ৫৫০ থেকে ৬০০ হয়ে যায়। আর দিনে দিনে লোক বাড়তেই উৎসাহ বাড়ে তাদেরও। তারপরই দয়ালপুর গ্রামে চলতে থাকে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের লঙ্গর খানা। যা আজ ১৯ দিনে পরেছে। আজ তাদের ওই কাজ দেখতে এলাকায় আসেন জেলা নেতৃত্ব। এমন উদ্দ্যোগে খুশি হয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতারা। জানা গেছে, প্রতিদিন দুপুরে এলাকার আশে পাশে গ্রামের দুস্থ, অসহায়, ভিখারি, প্রতিবন্ধীরা আসেন দুপুরের খাবার খেতে। কেউ বসে খান কেউ বাড়ি নিয়ে চলে যান। এদিন লঙ্গর খানায় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান ইন্তেকাফ আলম, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রব, জেলা সহ সভাপতি, বাসুদেব চৌধুরী, গলসি দুনম্বর ব্লক এস.টি এস.সি সেলের সভাপতি নিমাই বাগ্দী, বনভুমি কর্মাধক্ষ্য সাবির উদ্দিন আহম্মেদ, জয়হিন্দ বাহিনীর চেয়ারম্যান সেখ রহমত আলি, সংখ্যালঘু সেলের ব্লক চেয়ারম্যান শান্ত শা সহ দলীয় নেতৃত্ব তৃণমূল নেতা সেখ মহরম, জয়রাম ঘোষ, সেখ মিঠু সহ দলীয় নেতৃত্ব। ওই লঙ্গর খানায় খেতে আসা আরতী বাগ্দী, দুলাল মেটে, চম্পা বাগ্দীরা জানান, লকডাউনের জন্য তাদের ঘরে খাবারে টান পরেছে। ঘরে রাতে খান ও তৃণমূল কর্মীদের লঙ্গর খানায় দুপুরে খান। আর এতে তারা খুবই খুশি। তারা বলেন, কোনদিন মাছ কােনদিন মাংস কোনদিন ডিম দিয়ে তারা পেট পুরে খাবার খান।