অর্ধনগ্ন অবস্থায় এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ালো হবিবপুর

মালদা, ০৭ আগস্ট। অর্ধনগ্ন অবস্থায় এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ালো হবিবপুর থানার বাস্থাইপাড়া এলাকায়। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ওই গৃহবধূূর দেহ উদ্ধারের ঘটনার পর তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।  

    বিষয়টি জানতে পেরে হবিবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বধুর দেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ওই গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে হবিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে পারে নি পুলিশ। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হবিবপুর থানা পুলিশ।

    পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে,  মৃত গৃহবধূর নাম শ্যামলী হেমব্রম (২৮)। স্বামী জ্যাঠা মার্ডি । পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক। বর্তমানে শ্রমিকের কাজে হায়দ্রাবাদে রয়েছেন তিনি। বাড়িতে দুই নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে একা থাকতেন ওই গৃহবধূ। মঙ্গলবার রাতে বড় মেয়ে পাশের বাড়িতে ঘুমাতে গিয়েছিল। গরমে গৃহবধূ ঘরের বাইরে বারান্দায় ঘুমিয়েছিল। গভীর রাতে ছোট মেয়ের কান্না শুনে ছুটে আসে পাড়া-প্রতিবেশিরা। বাড়ির উঠানে রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন পাড়া প্রতিবেশীরা।  সেখানে বসেই কান্নাকাটি করছিল ছোট মেয়ে। রক্তের দাগ দেখে গভীর রাতে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি পুকুর পাড়ে পৌঁছায় স্থানীয়রা। সেখানে ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ এসে পুকুর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে দেহটি। তবে খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা ধর্ষণ করে ওই গৃহবধূকে খুন করেছে কেউ বা কারা।

    পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে । ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বলা যাবে।

    ছবি —– উদ্ধার হওয়া মৃত গৃহবধূর দেহ মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।