হরিশ্চন্দ্রপুরে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে পুড়ে ছাই বাবুলালের বাড়ি।

 

    হরিশ্চন্দ্রপুর,২৬ মে,মহ:নাজিম আক্তার: গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল এক চর্মকারের বাড়ি। অগ্নিকান্ডটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দৌলতপুর জিপির বেজপুরা গ্রামে।অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাবুলাল রবিদাস ও তার ছেলে কৃষ্ণ রবিদাসের পরিবার।

    বাবুলাল জানান এদিন তার স্ত্রী ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না করছিল।হটাৎ গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিক করে বাড়িতে আগুন লেগে যায়। চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলেও গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আরো বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে কেউ আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগাননি বলে খবর। ঘন্টা খানেকের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায় তার একমাত্র বসত বাড়ি,ঘরের আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খাদ্য শস্য ও কিছু টাকা পয়সা এবং অলঙ্কার।ক্ষয়ক্ষতি প্রায় লক্ষাধিক টাকা।এলাকার লোকজন দমকল বাহিনীকে খবর দিলেও দমকল ইঞ্জিন আসার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাড়ি। আগুনে মানুষের কোন ক্ষয় ক্ষতির খবর নেই। এখন দুই পরিবারের লোকেরা খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টাঙিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

    তিনি আরো জানান,এক ছেলে কৃষ্ণরবিদাস ও তার বৌমা এবং তারা স্বামী স্ত্রী সহ মোট চারজন একটিমাত্র কাঁচা ঘরেই বসবাস করতো।বাড়িটিতে ছিল টিনের ছাউনি এবং বাসের বেড়া।জুতো সেলাই করে সামান্য রোজগারে পরিবার চলত। লকডাউনে কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসে রয়েছে। বাড়িতে শুরু হয়েছে অভাব-অনটন। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা তার উপরে বাড়ি পুড়ে ছাই। কিভাবে পুনরায় বাড়ি তৈরি করবে তার চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে।

    অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ছুটে যান হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তজমুল হোসেন। তার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে সরকারি সবরকমের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

    হরিশ্চন্দ্রপুর- ২ নং ব্লকের বিডিও প্রীতম সাহা জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনাটির খবর পেয়েছে।তার পরিবারকে সরকারিভাবে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান।