|
---|
আজিজুর রহমান,গলসি : এলাকার প্রসুতি মায়েদের সুরাহা দিতে পুরসা হাসপাতাল ওটি ও লেবার রুম কমপ্লেক্সের এর ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হল। বুধবার দুপুরে ফিতে কেটে কমপ্লেক্সের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন রানীগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক তাপস ব্যানার্জ্জী। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, গলসি বিধানসভার বিধায়কের উদ্যোগে এবং আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের আর্থিক সহযোগিতায় কমপ্লেক্সেটি নির্মানের ব্যবস্থা করা হয়। যার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪৬,৭৭,১১১ টাকা। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসূতি বিভাগটি দ্বিতীয় তলায় থাকার জন্য প্রসূতি মায়েরা অসুবিধায় পরতেন। বছর খানেক আগে বিভাগটি নিচে তলায় করার জন্য আবেদন করেন এলাকা বাসীরা। তারপরই বিষটি নিয়ে উদ্দ্যোগী হন স্বাস্থ্যকেন্দ্রর বিএমওএইচ ডাক্তার ফারুক হোসেন। তিনি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিংয়ে বিষয়টি জানালে বিধায়ক ওই কাজটি করার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও এদিন বিধায়ক নেপাল ঘরুই এর তহবিল থেকে সদ্য নির্মিত একটি মহিলা বিশ্রামাগারের উদ্বোধন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন গলসি বিধানসভার বিধায়ক নেপাল ঘরুই, আসানসোল -দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা রানীগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক তাপস ব্যানাজী, পু্রসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিএমওএইচ ডাক্তার ফারুক হোসেন, মেডিকেল অফিসার সর্নাভ হাজরা, গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রোকেয়া সেখ, সমিতির জন স্বাস্থ্যের কর্মাধক্ষ্য প্রবীর গাঙ্গুলী, রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য পার্থ সারথি মন্ডল ও জাকির হােসেন, পোতনা পুরসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিলকিস বেগম সহ হাসপাতালে কর্মী ও এলাকার মানুষরা। প্রাক্তন শিক্ষক সেখ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, গলসি বিধায়কের এমন কাজের জন্য খুব খুশি হয়েছি আমরা। তার এই কাজে উপকৃত হবে হাজার হাজার মানুষ। এমন কাজ করার উদ্দ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি ডাক্তার ফারুক হোসেন ও রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য পার্থ সারথি মন্ডল ও জাকির হোসেন সহ সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিধায়ক নেপাল ঘরুই বলেন, গলসি এলাকার মানুষ আমাকে ভোট জিতিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি। এলাকার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও খুব শিঘ্রই নির্মান করা হবে। এছাড়াও হাসপাতালের আরও কিছু কাজ আছে সেগুলিও আমি পরে আস্তে আস্তে করার চেষ্টা করবো।