|
---|
লুতুব আলি : হুগলি জেলার গুড়াপে শুরু হল বইমেলা। শনিবার এই বইমেলার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মিহির গঙ্গোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বই মেলা কমিটির সম্পাদক আদিত্য নারায়ণ চৌধুরী। দ্বিতীয় বর্ষ এই বই মেলা বসেছে হাজিগড় চৌধুরী ভবনে। অনুষ্ঠানে এই বইমেলার উদ্বোধক মিহির গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কলকাতার বইমেলার পাশাপাশি মফস্বলের বইমেলা গুলিও ইদানিংকালে প্রসার ঘটিয়েছে। কলকাতা বইমেলা আজ আন্তর্জাতিক বইমেলা হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। এর জন্য বুক সেলার্স অফ গিল্ডের তেমন কোনো ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি। সবটাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব বলে মিহির গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেন। বই মেলা কমিটির সভাপতি লক্ষণ চন্দ্র পাল জানান, এই বইমেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ইদানিংকালের ছেলেমেয়েরা বড্ড বেশি মোবাইল মুখী হয়ে পড়েছে। গ্রামে বইমেলা হওয়ায় তারা আকৃষ্ট হচ্ছে। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র, গুরাপ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী নিরন্ত রা নন্দ জি মহারাজ, বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক আবু মনির উদ্দিন চৌধুরী। আদিত্য নারায়ণ চৌধুরী জানান, গুড়াপ বইমেলা কে সাফল্যমন্ডিত করতে এগিয়ে এসেছেন অভিজিৎ রানা, অনিরুদ্ধ ইসলাম, অর্ণব চক্রবর্তী, ইসরাইল মল্লিক ছাড়াও অনেক শুভানুধ্যায়ী। এদিনের সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আয়ুশি চক্রবর্তী, সৌরিমা বসুরায়, আর্ট স্টিক যোগা সৃজনী বসুরায় ও মৌমিতা জানা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন অভিপ্সা ভট্টাচার্য। নৃত্যানুষ্ঠান করে নটরাজ একাডেমি, পরিচালনায় অর্পিতা মজুমদার। এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চৈতালি মল্লিক। বই মেলা চলবে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত। বইমেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন দিনে থাকছে, অঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংবাদিকতার ওপর কর্মশালা, সেমিনার ও বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা, স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে থাকছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।