জম্মুতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে হুগলির তরুণের রহস্য মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা : জম্মুতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে হুগলির তরুণের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছে। পরিবারের দাবি, ছেলেকে খুন করা হয়েছে ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুরজিৎ দাস। তিনি হুগলির কানাইপুর রায়পাড়ার বাসিন্দা। ২৩ বছরের সুরজিৎ চব্বিশ দিন আগে জম্মুর বনিহালে কাজ করতে গিয়েছিলেন।

    সুরজিতের মা সুলতা দাস জানিয়েছেন, কোন্নগর চটকল এলাকার তিন যুবকের সঙ্গে কয়েকদিন আগেই বন্ধুত্ব হয়েছিল ছেলের। তাঁরা সুরজিৎকে রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য বনিহালে যাওয়ার কথা বলে। পুজোর আগে বেশি টাকা রোজগার করতে পারবে বলে সুরজিৎও তাঁদের কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। সেকথা সুরজিৎ বাড়িতে জানিয়েছিলেন।সুলতা জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে ছেলেকে অতদূরে কাজে যেতে দিতে রাজি হননি। ছেলে তাঁকে বোঝায় এবং তিনি ওই তিন যুবকের মধ্যে একজনের সঙ্গে কথা বলেন। আশ্বস্ত হওয়ার পরে সুলতা ওই যুবকদের সঙ্গে ছেলেকে জম্মু যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন।

    আত্মীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে সুরজিতের বন্ধুরা হুগলির বাড়িতে ফোন করেছিল। সেই সময় তাঁরা জানায় যে সুরজিতের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এতে বিচলিত হয়ে পড়েন সুলতা। ওই তরুণের মা বিচলিত হয়ে পড়েছেন বুঝতে পেরে ফোন কেটে দিয়েছিল ওই যুবকরা। পরে ফের ফোন করে তারা। জানায়, যে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে সুরজিতের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে যুবকরা দু-ধরনের কথা বলায়, ছেলের মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে

    এর পরেই সুরজিতের আত্মীয়রা কানাইপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানান। কিন্তু পুলিশ তাঁদের বানিহালের একটি ঠিকানা ও ফোন নম্বর জোগার করে দেওয়া ছাড়া কোনও সহযোগিতা করেনি। ছেলেকে এই ভাবে হারানোর পরে পরিবারের অভিযোগ, সুরজিত সেখানে ভালো ছিল না। মায়ের সঙ্গে প্রায়ই কথা হত।।সুরজিৎ মাকে জানিয়েছিলেন, সেখানে তাঁকে খেতে দেওয়া হত না। এমনকী সঠিক পারিশ্রমিকও দিত না তারা।

    সুরজিতের মা জানিয়েছেন, সুরজিতের পড়ে যাওয়ার খবর দেওয়ার সময় তাঁদের একটি ছবি পাঠানো হয়েছিল। সেখানে দেখা যায় যে ছেলের মাথায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। সুরজিতের মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করছে মৃত যুবকের পরিবার।