পারিবারিক অশান্তির জেরে অ্যাসিড খেয়ে মৃত্যু গৃহবধুর

সাকিব হাসান, জয়নগর: গত ১লা আগষ্ট রবিবার, জয়নগর মজিলপুরের জে এম ট্রেনিং স্কুল সংলগ্ন মাহিষ্য পাড়ার বাসিন্দা নন্দিতা মন্ডল,স্বামী বাপী চন্দ্র মন্ডল, পারিবারিক অশান্তির জেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। প্রথমে বাড়ির লোকজন নিমপীঠ হাসপাতালে নিয়ে যায়।পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিমপীঠ হাসপাতাল , বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে রেফার করে। ততক্ষণে রোগীর বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে নন্দিতার দাদা স্বপন কুমার তরফদার,স্বরুপ তরফদার ও বড়দি রুমা মন্ডল বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে পৌঁছে রোগীর দেখ ভাল শুরু করে। ডাক্তারবাবু যখন বলেন,রোগীর বাঁচার আশা অত্যন্ত কম তখন নন্দিতার বড়ো জামাইবাবু জয়নগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন কুমার মন্ডল ও স্থানীয় বিধায়ক বিভাস সরদারের সুপারিশে বারুইপুর থানার অফিসার রঞ্জিত চক্রবর্তী , বিকেল ৪টে নাগাদ নন্দিতার বয়ান নেন। পরে সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ রোগী কে আই সি ইউ তে দেওয়া হয়।পরের দিন ২ রা আগষ্ট সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ রোগী মারা যায়। পরবর্তীকালে মৃতের দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের স্বামী বাপী চন্দ্র মন্ডল কে জয়নগর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

    উল্লেখ্য শেষ ১৮-১৯ দিন বাপী তার বাবা, মা ও ছেলেকে নিয়ে খাচ্ছিল। নন্দিতার কোন খবরই রাখত না। প্রতি মুহুর্তে শশুর, শাশুড়ি ও স্বামীর মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অকালে একটা তরতাজা প্রাণ চিরতরে পৃথিবী থেকে ঝরে গেল। মৃতার সত্তরোর্ধ বাবা পঞ্চানন তরফদার, মা কুসুম কুন্তলা তরফদার,দাদা স্বপন স্বরুপ,দিদি রুমা মন্ডল ও জামাইবাবু পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন কুমার মণ্ডল চোখের জলে মৃতাকে বিদায় দেয়। মৃতার শোকসন্তপ্ত পরিবারের একটাই দাবী, অপরাধীরা কেউ যেন ছাড়া না পায়।পরিকল্পিত ভাবে একটা নিষ্পাপ প্রাণ কে শেষ করে দেওয়ার জন্য অপরাধীদের যেন দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হয়। দাবি পরিবারের তরফ থেকে।