|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : হুগলি পাণ্ডুয়ায় চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা। স্ত্রীকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে খাটের তলায় ঢুকিয়ে পলাতক স্বামী! খাটে শুয়ে কান্না দম্পতির এক বছরের মেয়ের। বৃহস্পতিবার এই নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত মহিলার নাম উর্মিতা দাস বাউল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহ মৃতার স্বামী সৌমেন দাস বাউলকে বৃহস্পতিবার রাতে বলাগড় থেকে গ্রেফতার করে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতকে আজ চুঁচুড়া আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে খুনের কথা শিকার করেছেন স্বামী। সাংসারিক অশান্তির জেরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে সে। খুনের বিস্তারিত কারণ জানার জন্য আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ধৃতে হেফাজতে চাওয়া হতে পারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূ পাণ্ডুয়ার জায়ের দ্বারবাসিনী পঞ্চায়েতের কামতাই মালঞ্চ পাড়ার বাসিন্দা। বছর দুয়েক আগে উর্মিতার সঙ্গে বিয়ে হয় লাগড় থানার অন্তর্গত ঝেরো গোপালপুরের বাসিন্দা সৌমেন বাউল দাসের সঙ্গে। তাঁদের এক বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে।মৃত গৃহবধূর বাবা উত্তম দাস বাউল তাঁর জামাইয়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি বিয়ের পর থেকে উর্মিতার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত সৌমেন। পেটে লাথি মেরে একবার সন্তান নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে তাঁর বাবা। মৃত গৃহবধূর বাবা বলেন, ‘মেয়ের উপর অত্যাচার করত জামাই। নেশা করে এসে মারধর করত। পেটে লাথি মেরে একবার সন্তান নষ্ট করে দেয়। মেয়ে আর শ্বশুরবাড়িতে যাবে না বলায় অশান্তি চলছিল।জামাই মাঝেমধ্যে আসত। গতকাল পাণ্ডুয়ার গ্রামে মনসা পুজোর অনুষ্ঠানে আসে সৌমেন। রাতে স্ত্রীকে ছাগল বাধার দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে খাটের তলায় ঢুকিয়ে দিয়ে দরজায় শিকল টেনে পালিয়ে যায় জামাই। মেয়ে বলেছিল আর শ্বশুরবাড়ি যাবে না। আমরাও মেয়েকে যেতে দিতে চাইনি। সেই কারণে খুন করে দিল।’বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম দেবীদয়াল কুণ্ডু, ওসি পান্ডুয়া প্রশান্ত ঘোষ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। মৃতদেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের পরই খুনের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। ডিএসপি দেবীদয়াল কুণ্ডু বলেন, ‘গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় খাটের তলা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে খুন করা হয়েছে। তবে মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’