|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ডাইনি সন্দেহে নৃশংসভাবে এক আদিবাসী মহিলাকে খুনের অভিযোগ। তাঁর স্বামীকেও পাথর দিয়ে থেঁতলে খুনের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার গভীর রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কুমারগ্রাম থানার খোয়ারডাঙ্গার নারারথলি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম চৈতি ওঁরাও(৫০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর স্বামী বালিরাম ওঁরাওকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে স্বামী-স্ত্রী ঘুমোতে চলে গিয়েছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ ছ’সাত জন যুবক মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে হামলা চালায়। তাদের হাতে ধারাল অস্ত্র ছিল। প্রথমে চৈতির ওপর হামলা চালায়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন চৈতি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্বামীও। তবে তিনি বেঁচে গেলেও অবস্থা আশঙ্কাজনক।সম্প্রতি ওই এলাকায় চৈতির বাড়ির আশপাশের দুই মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। একজন ফাঁস লাগিয়ে ও একজন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে।একজন তরুণী এবং একজন মহিলা আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনার পরই গ্রামবাসীদের একাংশের সন্দেহ হয় যে চৈতি ডাইনি। এই সন্দেহ করে বুধবার রাতে চৈতির বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘুমের মধ্যেই পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় দু’জনের মুখ। অভিযোগ, যারা এই ঘটনায় অভিযুক্ত, তারা প্রত্যেকেই মৃতের আত্মীয়। নৃশংস এই ঘটনার পর গ্রামে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।