|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : খাটের নিচে রাখা মায়ের মৃতদেহ।আর উপরে শুয়ে ক্রমাগত কেঁদে চলেছে এক বছরের সন্তান। বৃহস্পতিবার সকালে এমনই হাড়হিম করা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাণ্ডুয়ায়। গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্ত্রীকে খুন করে খাটের তলায় ঢুকিয়ে বেপাত্তা স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে পাণ্ডুয়ার জায়ের দ্বারবাসিনী পঞ্চায়েতের কামতাই মালঞ্চ পাড়া এলাকায়। বছর দুয়েক আগে ওই পাড়ার উরমিতা বাউল দাসের বিয়ে হয় বলাগড় থানার অন্তর্গত ঝেরো গোপালপুরের সৌমেন বাউল দাসের সঙ্গে। দম্পতির একটি এক বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। মৃত গৃহবধুর বাবা উত্তম বাউল দাসের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর অত্যাচার করত জামাই। নেশা করে এসে মারধর করত। এর আগে পেটে লাথি মেরে একবার সন্তান নষ্ট করে দিয়েছিল। ওই ঘটনার পর শ্বশুরবাড়িতে ফিরে না যাওয়ার কথা বলায় অশান্তি চলছিল। বাপের বাড়িতেই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন উরমিতা। জামাই মাঝেমধ্যে আসত। বুধবার পাণ্ডুয়ার গ্রামে মনসা পুজোর অনুষ্ঠানে আসে জামাই সৌমেন। অভিযোগ, ওই রাতেই বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে ছাগল বাঁধার দরি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে। তারপর মৃতদেহ খাটের তলায় ঢুকিয়ে দিয়ে দরজা বাইরে থেকে শিকল টেনে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম দেবীদয়াল কুন্ডু ও ওসি পাণ্ডুয়া প্রশান্ত ঘোষ ঘটনাস্থলে যান। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।