শিলিগুড়িতে এক ব্যক্তিকে খুন করে রাস্তার পাশে ফ্ল্যাটের ভেন্টিলেটরে ঝুলিয়ে দেওয়া হল!

নিজস্ব সংবাদদাতা. সাতসকালে হাড়হিম করা ঘটনা! এক ব্যক্তিকে খুন করে রাস্তার পাশে ফ্ল্যাটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হল! গলায় ফাঁস দিয়ে ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরজুড়ে। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও শিলিগুড়ি পৌরনিগমের চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। বারবার শহরে অপরাধের ঘটনা ঘটে চলায় স্বভাবতই পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 23 নম্বর ওয়ার্ডের ডাবগ্রাম এলাকায়। সোমবার সকালে কাজে যাওয়ার সময় ওই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির রক্তাক্ত ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশী ফ্ল্যাটের এক যুবক। এরপরই তিনি আশেপাশের লোকজনদের খবর দেন। নিমেষে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। মৃত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই ব্যক্তিকে অন্য কোথাও খুন করে তাঁর রক্তাক্ত দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশেপাশে একাধিক রক্তের দাগ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, খুনের ঘটনায় কোনও একজন জড়িত নয় বলে অনুমান পুলিশের। কারণ দেহ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া ও ভেন্টিলেটরের সঙ্গে তার দিয়ে ঝোলানোর কায়দা দেখে পুলিশের অনুমান ওই ঘটনায় একাধিক মানুষের যোগ রয়েছে। অপরাধীদের সন্ধানে আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জোগাড় করার চেষ্টা করছে পুলিশ।এই বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী শুভঙ্কর মাইতি বলেন, “সকালে কাজে যাচ্ছিলাম। ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়েই দেখি পাশের বাড়ির দেওয়ালে একটা মানুষের রক্তাক্ত দেহ ঝুলছে।” 23 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বাবলু পাল বলেন, “সকালে স্থানীয় একজন আমাকে ফোন করে জানায় একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে মৃত ব্যক্তি এলাকার কেউ নয়। অন্য কোনও জায়গায়।” এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, “লাগাতার শহরে অপরাধের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু পুলিশ কোনও সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে না।”