|
---|
লুতুব আলি, নতুন গতি : হাওড়ার বাগনানির ভূমিপুত্র ড. রঞ্জিত দাস ২৫ টি এডুকেশনাল ডিগ্রী অর্জন করার ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে স্বীকৃতি পেলেন। এই ডিগ্রি অর্জনে সর্বভারতীয় স্তরে তিনিই প্রথম ব্যক্তি। তিনি এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসে ও স্বীকৃতি পেয়েছেন। নতুন দিল্লির নিকটস্থ ফরিদাবাদে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস আয়োজিত প্রথম কনভোকেশনে টপ টেন রেকর্ড হোল্ডার হিসেবে সম্মানিত হলেন বাগনানের টেপুর নবাসন অনন্তরাম উচ্চ বিদ্যালয় এর ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ডক্টর রঞ্জিত দাস। ২৫ টি এডুকেশনাল ডিগ্রী অর্জন করার জন্য তাঁকে এই বিরল সম্মান প্রদর্শন করা হয়। তিনি ১৬ টি পোস্ট গ্রাজুয়েট, তিনটি পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা, তিনটি পোস্ট গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট, তিনটি গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে কর্পোরেল সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি এবং আরবান স্টাডিজ এর উপর অধ্যয়ন করছেন। তাঁর এই অভাবনীয় বিরল কৃতিত্বে আইবি আর বিস্ময় প্রকাশ করে। চিফ এডিটর ডঃ বিশ্বরূপ রায় চৌধুরী, ম্যানেজিং এডিটর নীরজা রায়চৌধুরী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ড. দাসের কৃতিত্বে ইউনিক হিসেবে বর্ণনা করা হয় এবং আইবি আর এর রেকর্ড হোল্ডার হিসেবেও বর্ণনা করা হয়। আইবিআর এর রেকর্ড হোল্ডার হিসেবে তাঁরা গর্ব অনুভব করেন। ডক্টর দাসের নিরবচ্ছিন্ন অধ্যায়ন, অধ্যাবসায় এই কঠোর শ্রমের প্রতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই সাধুবাদ জানান। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিশিষ্ট রেকর্ড হোল্ডারদের সঙ্গে তাঁকে উত্তরীয়, স্মারক ও অন্যান্য উপহার সামগ্রিক দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। আয়োজকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা আন্তরিক আতিথেয়তা সকলকে মুগ্ধ করে। ড. রঞ্জিত দাস সহ টপ টেন রেকর্ড হোল্ডারদের সাক্ষাৎকার গৃহীত হয়। এক সাক্ষাৎকারে ড. রঞ্জিত দাস বলেন, যতদিন বাঁচি ততদিন শিখি… শিক্ষা গ্রহণ এক জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বয়স কোন অন্তরায় নয় । এর মাধ্যমে একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের অনুপ্রাণিত করা হয়। শিক্ষার যেমন শেষ নেই, শিক্ষাগ্রহণের ও কোন শেষ সীমা নেই। জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ শরীর ও মনকে সুস্থ ও সুন্দর রাখে।