|
---|
শরীফুল ইসলাম, নতুন গতি, সারদা কাণ্ডের তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে রবিবার, সন্ধ্যা ছটা নাগাদ কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সরকারি ঠিকানায় অতর্কিতে সিবিআই হানা কে কেন্দ্র করে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের কর্তা দের মধ্যে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়।
নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ইন্ধনে সিবিআই এর হেন কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর কার্যত আঘাত দাবি করে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই আচরণের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কলকাতা মেট্রো চ্যানেলে ধরণায় বসেন। এবং দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রের রাজ্য বিরোধী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সোচ্চার হতে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজ গোটা রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ফেডারেল স্ট্রাকচার ও গণতন্ত্র বাঁচাও স্লোগান কে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা জেলা, শহর ও ব্লক স্তরে মিটিং মিছিল ও পথ সভা করেন।
তারই অংশ হিসাবে আজ, শান্তিপুর শহরের রাজ রাস্তায় তৃণমূলের মিছিল সংগঠিত হয়।
মিছিল শেষে শান্তিপুর ডাকঘর বাসস্ট্যান্ডে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথ সভায় বক্তব্য রাখেন শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র, রাজ্য মিউনিসিপ্যাল কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা সনৎ চক্রবর্তী, শিক্ষক দীপঙ্কর চাটার্জ্জী, শান্তিপুর সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ইয়ার আলী মল্লিক।
শিয়রে ভোট। নির্বাচনের আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিন্দু ভাবাবেগ কে ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার করার চেষ্টা করতে পারেন। এমন আশঙ্কার কথা মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট সিলেক্ট কমিটিতে ডান কোটস এমন একটা সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে ফেডারেল ফ্রন্টের এক উল্লেখযোগ্য মুখ। কয়েক দিন আগেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর ও রাজ্যবিরোধী কিছু তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য। এই প্রেক্ষাপটে,
দেশে সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই গত কাল রাজ্য পুলিশের এক কর্তার বাড়িতে অতর্কিতে সিবিআই হানার মধ্যে
জবরদস্তি রাজ্য কে উপলক্ষ্য করে মমতার সঙ্গে সংঘাতের পথেই কি বিজেপি ? সারদা ঘটনা তো হাফ দশকের। এতদিন তবে চুপ ছিল কেন সিবিআই ?
এসব দেখে শুনে সেই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে রাজ্যবাসীর মনে।