কালিপুজোর উদঘাটনে মাজারে চাদর চাপানো রীতি মঙ্গলকোটে

মোল্লা জসিমউদ্দিন : শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার উদ্যোগে  জেলা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হলো কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান ,এর পুজো উদঘাটনের প্রাক্কালে  পাশাপাশি মঙ্গলকোট গ্রামে মাজার শরিফে চাদর চাপানো হলো ।মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জী জানান -‘  সাধারন গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা এই শীতের সামনে কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানটি রেখেছি। মূলত প্রথমে আমরা কৈচোর ফাঁড়িতে ৬০০ কম্বল বিতরণ করি। পরে মঙ্গলকোট থানায় ১ হাজার কম্বল বিতরণ করি’।উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন।  তিনি এদিন এই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এসে কালীপুজোর শুভ সূচনা করলেন।এর পাশাপাশি মঙ্গলকোট থানার ঐতিহ্য মেনে পীরের মাজারে তিনি চাদর চাপান, পরে ফ্রিতে কেটে থানার কালীপুজোর শুভ উদ্বোধন করেন।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল এসপি ধ্রুব দাস, এসডিপিও কৌশিক বসাক, মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জি ও কৈচর ফাঁড়ির আইসি শরিফুল শেখ, মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক প্রমুখ ।কালীপুজোকে কেন্দ্র করে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ  । থানা পরিচালিত কালিপুজোয় পীরের মাজারে চাদর চাপানো রীতিটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন আরও অটুট হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা ও দীক্ষাগুরু আব্দুল হামিদ দানেশখন্দ যিনি নিজেকে ‘হামিদ বাঙালি’ নামে পরিচিতি ঘটিয়েছিলেন। যিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন হিসাবে পরিচিত সবার কাছে। সূদুর পারস্য থেকে পায়ে হেঁটে এই মঙ্গলকোটে এসেছিলেন আঠারো অলির টানে।হামিদ বাঙালির সমাধিস্থল রয়েছে এই মঙ্গলকোটেই। সেই মঙ্গলকোটে থানা পরিচালিত কালিপুজোর অমঙ্গল কাটাতে পীরের মাজারে চাদর চাপানো রীতিটি বছরের পর বছর হয়ে আসছে।