পরকীয়া জেনে নেওয়াই বৌদি ও তাঁর প্রেমিক মিলে পুকুরে চুবিয়ে খুন করল দেওরকে

নিজস্ব সংবাদদাতা : স্বামী মারা গিয়েছে। দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন মহিলা। অভিযোগ, তবে দেওরের সঙ্গে কোনও মতেই বনিবনা হচ্ছিল না। এরই মধ্যে মহিলা এক কীর্তন শিল্পীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তবে তা দেওর জেনে ফেলার পর সংসারে আরও বাড়ে অশান্তি। অভিযোগ, সেই কারণে পথের কাঁটা সরাতে বৌদি ও তাঁর প্রেমিক মিলে পুকুরে চুবিয়ে খুন করল দেওরকে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকবছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর নিজের দুই সন্তানকে নিয়ে বাঁকুড়ার সারেঙ্গার মাকড়কোল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন গোলাপী প্রতিহার। পরিবারে একমাত্র পুরুষ হিসাবে ছিলেন দেওর অসিত প্রতিহার। সম্প্রতি দুজনের বনিবনা হচ্ছিল না। এরই মাঝে গোপাল চন্দ্র নামে এক কীর্তন শিল্পীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় গোলাপীর। জানা গিয়েছে, গোপাল পুর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার খঞ্চির বাসিন্দা। বৌদি ও গোপালের প্রেমের সম্পর্ক জেনে যায় অসিত।

     

    এরপরই গোপাল ও গোলাপী দু’জন মিলে নিজেদের সম্পর্কের পথের কাঁটা অসিতকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে বসে। অভিযোগ, গত ৬ অগস্ট গোপাল তাঁর বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে অসিত ও গোলাপীকে। দু’জনই উপস্থিত হন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে। অভিযোগ, পরের দিন অসিতকে ভরপেট মদ খাইয়ে জলে ডুবিয়ে খুন করে গোলাপী ও গোপাল। পরে গোলাপী একা সারেঙ্গায় ফিরে এলে পরিবারের অন্যান্যদের সন্দেহ হয়। অসিত নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৪০ দিন পর অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর নিখোঁজের পরিবার সারেঙ্গা থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে নামে পুলিশ। এরপরই গোলাপী ও গোপালকে নিজের-নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

     

    পুলিশ সূত্রে খবর পুলিশের জেরার মুখে দুজনই অসিতকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত ওই যুগলকে আদালতে পেশের পর তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে অসিতের পরিবার।