|
---|
মালদা; ০৯নভেম্বর: ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে পোষা হচ্ছে হরিণ। দেখতে ভিড় জমাচ্ছে স্থানীয়রা। একটি দুটি নয় রয়েছে ২৫ টিহরিণ। সঙ্গে আবার অস্ট্রিচ, কালো মুরগী সহ আরও বেশ কিছু দোসর। রাজ্যের মধ্যে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক অফিসেই ছোটো খাটো জঙ্গল বানিয়ে দীর্ঘ কিছু বছর ধরেই চলছে এমন প্রয়াস।
ব্লক অফিসের মধ্যেই বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে জঙ্গল। মাঝখানে বিশাল পুকুর। সেখানে আবার বোটিং এর ব্যবস্থা। সব থেকে বড় কথা এই মৃগোদ্যানকে তৈরি করতে বা রক্ষনাবেক্ষন করতে যে খরচ হয়েছে তার সবটাই দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা, পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক প্রশাসন। আলাদা করে রাজ্য সরকারের কাছে এই মৃগোদ্যান চালানোর জন্যে কোনো অর্থ চাওয়া হয়নি। তবে বন দফতরের কর্মী বা আধিকারিকরা মাঝে মধ্যে দেখে যান, দেন পরামর্শ। রোজ হরিণদের গাছের পাতা থেকে শুরু করে অন্যান্য খাবার দেওয়া হয়। কাজ করেন বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মী।তাঁদের বেতন পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের নিজস্ব ফান্ড থেকেই দেওয়া হয়। বহু মানুষ এই জঙ্গলে ঘুরতে আসেন। টিকিটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেখান থেকেও বেশ কিছু টাকা ওঠে। তা দিয়ে রক্ষনা বেক্ষন হয়। গেস্ট হাউসও করা হয়েছে। বহিরাগত কেউ এলে তাঁদের রাত্রিবাসের জন্যে। তবে পর্যটনের জন্যে বৃহৎ পরিকল্পনাও নিতে চলেছে পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন। বিশেষ করে এই শীতে, করোনার সময় মানুষ খুব বেশি দূরে না গিয়ে একান্তে এই গ্রামের মাঝখানে ছোটখাটো জঙ্গল উপভোগ করতে পারে। কাছাকাছি থেকে হরিণের মাথায় হাত বোলাতেও পারে। দুদিনের ছুটি কাটাতে এই এলাকায় আসতেই পারেন পর্যটকরা।সঙ্গে বোটিং আছে।শিশুদের খেলাধুলোর পার্কও আছে।
বেশ কিছু বছর আগে তৎকালীন বিডিও অশোক কুমার মোদক ৬ টি হরিণ নিয়ে এই মৃগোদ্যান শুরু করেন। তাঁকে সাহায্য করেন হরিশ্চন্দ্র পুর ২ ব্লকের বারদূয়ারী গ্রামেরই কিছু মানুষ। আজ সেই ৬ টি হরিণ এখন বেড়ে হয়েছে ২৫ টি।