দীর্ঘ লক ডাউনে দেশে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ অর্ধাহারে

সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়: গত ৪০ দিন ধরে লাভ ডাউনে কাজ বন্ধ থাকায় দেশের ৫০ কোটি মানুষ খেতে পারছে না দু বেলা। অবিলম্বে তাদের জন্য ৬৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হোক।নইলে মানুষ অনাহারে মারা যাবে এই দীর্ঘ লক ডাউনে।

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে ।তাদের কথায় যে দেশের ৪৪ শতাংশ মানুষ দুবেলা ভালো করে খেতে পারছেন না। প্রতিমুহূর্তে আয় না হওয়ার আশঙ্কায়। এরা আসলে দিন মজুর কিংবা দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল। দীর্ঘ লকডাউন এর ফলে যেটুকু সঞ্চয় ছিল সবই গেছে শেষ হয়ে। এখন ভরসা সরকারি বরাদ্দ। সেটা অনেক ক্ষেত্রে এখনো সকলের কাছে পৌঁছায় নি। এরকম মানুষরা দুশ্চিন্তায় একবেলার খাবার পেলেও সেটাই শেষ করে ফেলতে পারছেন না সেই বেলায় খেয়ে।এদের জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করেছেন অন্নপূর্ণা যোজনা নামে সরকারি প্রকল্পে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৫০ কোটি মানুষের দৈনিক পেট ভরে খাবার জুটছে না।

    এ প্রসঙ্গে রঘুরাম রাজন একটি প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন,

    যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে তার থেকেও আরো ৬৮ হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ করা দরকার। সরাসরি ব্যাংকের টাকা দিয়ে হোক, কিংবা বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে বা ১০০ দিনের কাজের কর্মসূচিতে তাদেরকে নিয়ে হোক, যেভাবেই হোক এই সমস্ত মানুষদের হাতে কিছু অর্থ পৌঁছে দেওয়া দরকার । এদেশে এই মুহূর্তে দুশো লাখ কোটি জাতীয় আয়। তা থেকে যদি এখনো পর্যন্ত  সব মিলিয়ে শিল্পোদ্যোগীদের জন্য প্রায় আড়াই লাখ কোটি দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে আরো ৬৮-  ৭০ হাজার কোটি বরাদ্দ করাও সম্ভব।

    এটা অত্যন্ত দ্রুত এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে হবে।শুধু বরাদ্দ করলেই হবেনা বরাদ্দকৃত অর্থ প্রকৃত অর্থে মানুষগুলোর কাছে পৌঁছে কিনা সেটাও দেখা দরকার।সরকারি সমীক্ষায় দেখা গেছে সরকার ১০০ টাকা কোনো কারণে সহায়তা বরাদ্দ করলে মাত্র এগারো টাকা  যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে পৌঁছায়। এরা অনেকেই অনাহারে থাকবে।

    সরকার অবশ্য বিভিন্ন রকম নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। গ্রামে চাষবাস বা দোকানপাট খুলতে বলে দিয়েছেন। সরকার বুঝেছে যে শুধু ভর্তুকি দিয়ে  সমাধান হবে না। সরাসরি এদেরকে একটি প্রকল্পে যুক্ত করা দরকার।  সরকারি ১০০ দিনের কাজ এবং পাশাপাশি নির্মাণশিল্প ও অন্যান্য শিল্পের কাজ শুরু হওয়া দরকার। আগামী সোমবার থেকে এজন্য দেশের সর্বত্র এমনকি রেড জোনে ও শ্রম ভিত্তিক কাজে মানুষের অংশগ্রহণ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ।

    সংবাদ সৌজন্যে: বার্তা সাম্প্রতিক