|
---|
রেশন দুর্নীতিতে রেশন ডিলার দের লাইসেন্সও বাতিল ও ১৯ জনকে আটক
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক:লকডাউনের সময়ে রেশন বিলি নিয়ে একের পর এক অভিযোগের পরে কড়া অবস্থান নিতে শুরু করেছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগে ১৯ জন রেশন ডিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ‘দ্যা ওয়াল’-কে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২৭১ জন রেশন ডিলারকে শোকজ করা হয়েছে। এদিন টেলিফোনে মন্ত্রী জানিয়েছেন, “সাধারণ মানুষের যাতে দুর্ভোগ না হয় তার জন্য লকডাউনের সময়ে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই সুযোগে কোনও রেশন ডিলার দুর্নীতি করলে কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। দোষ প্রমাণ হলে লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে।”
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রেশনে দোকানের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে বলেও খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সূত্রের দাবি, যেখানে যেখানে রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেই সব জায়গায় আপাতত চাল-ডাল বিলির ব্যবস্থা সরাসরি খাদ্য দফতরের অফিসাররা সামলাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাজ্যে রেশন ব্যবস্থায় লকডাউনের সময়ে নানা দুর্নীতি হচ্ছে বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ তুলে আসছে বিরোধী দলেরা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর পরেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিনামূল্যে রেশনের বেশ কিছু ঘোষণা করেছিল। তার পর থেকেই বিরোধীরা বিশেষ করে বিজেপি বারবার অভিযোগ করে যে বহু জায়গায়, রেশন দোকানের পরিবর্তে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয় থেকে চাল-গম (রেশনের) বিলি হচ্ছে। দুর্নীতি ও মজুতের অভিযোগও তোলা হয়েছিল বারবার।
এর পরে রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে নিজেও বিরক্ত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এনিয়ে খাদ্যমন্ত্রীকে ধমক দেওয়া ছাড়াও খাদ্য সচিবের পদ থেকে মনোজ আগরওয়ালকে সরিয়ে দেন। এর পরেও থামেনি রেশন নিয়ে ক্ষোভ। এমনকী রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও সরব হন। ১৮ এপ্রিল রাজ্যপাল বলেন, “শুধু লোক দেখানো ব্যবস্থা নিলে চলবে না, এই ঘটনায় অনেক ক্ষমতাশালী জড়িত”। তাঁর কথায়, “গণবন্টন ব্যবস্থায় দুর্নীতির বেলুন রোজই একটু একটু করে বড় হচ্ছে। এখনই না আ়টকাতে পারলে রাজ্যে আগের সব দুর্নীতিকে লজ্জা পাইয়ে দেবে।”