|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ১৪ দিন অতিক্রান্ত হয়ে কোনও অজ্ঞাত কারণে আটকে দেওয়া হয়েছে ভিন জেলায় কাজ করতে যাওয়া মালদার শ্রমিকদের। এই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তাঁরা। এদিকে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তাঁদের পরিবারও। লডডাউনের সময় বাড়ি আসার পথে বীরভূমের পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। মালদার কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লকের ২৬ জন-সহ জেলার মোট ৩৫ জন শ্রমিক আটকে রয়েছেন বীরভূমে। জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ মোরগ্রামে তাঁদের আটক করে পুলিশ। তাঁরা লকডাউনের পর কাজের জায়গা থেকে ফিরছিলেন। কিন্তু গাড়ি আটকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় লোহাপুর স্বাস্থ্য সেন্টারে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ১৪ দিনের জন্য লোহাপুরে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন সোমবার ছাড়ার কথা। ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর সমস্ত পরীক্ষা করার পর ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সমস্ত কাগজপত্র ও প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়। নিয়ে যাওয়ার জন্য নাকি গাড়িও এসে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে তাঁদের জানানো হয়, এই মুহূর্তে ছাড়া যাচ্ছে না। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। আচমকা তাদের ছুটি বাতিল হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন তাঁরা। আশঙ্কার মধ্যে কেটেছে এই কটা দিন। জানা গেছে, তাঁরা বর্ধমানের অন্ডালের কাছে নির্মাণ শ্রমিক, রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন তাঁরা। লকডাউনের পর পরই বাড়ি ফিরছিলেন। এই শ্রমিকদের বাড়ি কারোর মুন্সিটোলা, টিটিহিপাড়া। কারোর বাড়ি কাহালা, কেশরপুরে। এদিন আনন্দে ছিলেন পরিবারের লোকেরাও। তাঁদের প্রিয়জনেরা বছরের প্রথম দিন বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু পরে ফোন করে জানানো হয় তাঁদের ছাড়া হয় নি। শোনার পর থেকে পরিবারে বিষাদের ছায়া। দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরাও। আদৌ লকডাউন চলাকালীন তাঁদের ছাড়া হবে তো? এই প্রশ্ন এখন পরিবারের সদস্যদের মুখে মুখে। বীরভূমের কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে এনামূল হক, মাসিদুর হক, আমজাদ আলি, জসিমুদ্দিনরা বলেন,‘আমাদের ১৪ দিন হয়ে গেল কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা। এদিন আমাদের ছাড়ার কথা ছিল। আমাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তারি শংসাপত্রও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব প্রস্তুতি শেষ, এমন সময় বলছে ছাড়া হবে না। কী কারণে এই মতের পরিবর্তন, তাও আমাদের জানানো হচ্ছে না । সব মিলিয়ে খুব সমস্যার মধ্যে আমরা