মডেল পরিচয় দিয়ে অধ্যাপিকার সঙ্গে প্রেম, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ! অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা : সৌদি আরবে যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল অধ্যাপিকার। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অধ্যাপিকাকে ধর্ষণ ও কয়েক লক্ষ টাকা আদালত করেছিল ওই যুবক। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ। নিজেকে মডেল হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল ধৃত যুবক মহম্মদ মুকারাম। হায়দ্রাবাদ  থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা, তোলাবাজি সহ একাধিক ধারায় মামলার রুজু করেছে পুলিশ।প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে ওই যুবক । কারও কাছে বড় ব্যবসায়ী, আবার কারও কাছে নিজেকে মডেল পরিচয় দিয়ে তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলত সুঠাম চেহারার ওই যুবক। তারপরে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিত সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার বাসিন্দা ওই অধ্যাপিকা করোনা পর্বের আগে সৌদি আরবে ছিলেন। সেখানে একটি কলেজে তিনি পড়াতেন। সেখানেই ২০১৯ সালে তাঁর সঙ্গে মুকরামের পরিচয় হয়। সৌদি আরবে ট্যাক্সি চালাত ওই যুবক। সেই সূত্রে যাতায়াতের সুবাদে তরুণীর সঙ্গে তার আলাপ জমে। যুবক নিজেকে ট্যাক্সির মালিক বলে দাবি করেছিল। একইসঙ্গে হায়দরাবাদে মডেল হিসেবে কাজ করে বলেও উল্লেখ করে। ক্রমে অধ্যাপিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফলে ওই যুবক।লকডাউন পর্বে দুজনেই ভারতে চলে আসে। এরপর পার্কস্ট্রিটে ওই অধ্যাপিকার বাড়িতে যায় ওই যুবক। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপরেই অধ্যাপিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় ওই যুবক। এরপর তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ৩০ লক্ষ টাকা নেয় যুবক। অভিযোগ, তারপরেই উধাও হয়ে যায় ওই যুবক। অধ্যাপিকার সঙ্গে সে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। তখন তিনি বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। ঘটনায় তিনি পার্কস্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

     

    তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে হায়দরাবাদে মডেলের কাজ করছে ওই যুবক। তবে নিজের নামে সিম ব্যবহার সে করত না, অন্যের সিম ব্যবহার করত। হায়দরাবাদে রয়েছে জানার পরে সেখানে রওনা দেয় কলকাতা পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে শনিবার তাকে গ্রেফতার করে কলকাত আনা হয়। রবিবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

     

    পুলিশ জানতে পারে, ২০১৬ সালে ওই যুবক প্রথম বিয়ে করেছিল। সেক্ষেত্রে স্ত্রীর কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছিল সে। ২০২০ সালে তার আবার বিয়ে হয়। তার কাছ থেকেও ফ্ল্যাট কেনার জন্য মোটা টাকা নিয়েছিল। সে কখনই টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করত না। আত্মীয় বা বন্ধুদের অ্যাকাউন্টে জমা করত। আরও কাউকে ঠকিয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।