|
---|
দেবজিৎ মুখার্জি: আদানি ইস্যু নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করতে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ দুই কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র! এমনটাই অভিযোগ এনেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এবার তাঁর বিরুদ্ধেও পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন মহুয়া। প্রশ্ন করলেন, নিশিকান্ত দুবের শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি জাল করার অভিযোগের তদন্ত কেন হচ্ছে না?
সম্প্রতিই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সাংসদের সদস্যপদ খারিজের দাবি জানিয়ে তিনি লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি দেন। বিষয়টি বর্তমানে সংসদের এথিক্স কমিটি তদন্ত করছে। এরই মাঝে এবার নিশিকান্ত দুবের বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ আনলেন মহুয়া মৈত্র।
তৃণমূল সাংসদ দাবি করেন, সাত মাস আগে তিনি বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের বিরুদ্ধে ডিগ্রি জালের অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই অভিযোগের তদন্ত এখনও কেন হচ্ছে না?
একইসঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন, গত বছর ঝাড়খণ্ডের দেওঘর বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে ঢুকে গুন্ডামির অভিযোগ উঠেছিল নিশিকান্ত দুবের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরও দায়ের হয় বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে।এক্স হ্যান্ডলে মহুয়া মৈত্র লেখেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক কবে ফর্জি দুবের অবৈধ অনুপ্রবেশের তদন্ত করবে, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছি।”
আজ, বুধবার তৃণমূল সাংসদকে পাল্টা জবাব দেন নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, “এখানে প্রশ্নটা আমার ডিগ্রি বা আদানি গ্রুপ নিয়ে নয়, বরং মহুয়া মৈত্র টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন কিনা। এটা সংসদের নিয়ম, জাতীয় নিরাপত্তা ও সাংসদের সম্পত্তি, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ নিয়ে। ওনাকে উত্তর দিতে হবে যে এনআইসি-র মেইল দুবাই থেকে ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা। প্রশ্নটা হচ্ছে উনি টাকা নিয়েছেন কিনা, ওনার বিদেশ সফরের খরচ কে দিয়েছিল? এই বিদেশ সফরগুলির জন্য তিনি লোকসভা স্পিকার ও বিদেশ মন্ত্রকের অনুমতি নিয়েছিলেন কিনা?”
এক্স হ্যান্ডেলে এই পোস্টের সঙ্গে তিনি একটি হ্য়াশট্যাগও লেখেন “ডিগ্রিওয়ালী দেশ বেচে”, যার অর্থ দাঁড়ায় ডিগ্রিধারী দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে।