|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রচন্ড গরম, তীব্র দাবদাহে নাজেহাল মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে গ্রীষ্মকালীন রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাংকে । করোনা পরিস্থিতির পর জেলায় রক্তের ঘাটতি পূরণ হয়নি। মাঝেমধ্যেই মালদহ মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাংকের রক্তের ভাড়ার শূণ্য হয়ে যায়। মালদহ মেডিক্যালে রক্তের সংকট দেখা দেওয়ায় চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় রোগীর পরিবারের মানুষদের। মেডিক্যালের রক্তের ভাড়ার শূন্য হলে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েন জেলার থ্যালাসেমিয়া রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্ত না দিতে পারায় হয়রানির শিকার হন তারা। এমন পরিস্থিতিতে মালদহ মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাংকের রক্তের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা।
কিছুদিন ধরে আবারো মালদহ মেডিক্যালে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রক্তদান শিবিরে এগিয়ে আসলো মালদহ কলেজ। বুধবার মালদহ কলেজের এনসিসি ও এনএসএস ছাত্র ইউনিটের উদ্যোগে কলেজ প্রাঙ্গণে এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। রক্তদান নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এদিন রক্তদানে এগিয়ে আসলেন মালদহ কলেজের প্রিন্সিপাল মানস কুমার বৈদ্য।এছাড়াও এদিন রক্তদানে এগিয়ে আসলেন এনএসএস ইউনিটের প্রোগ্রাম অফিসার অমূল্য সরকার।রক্তদান শিবির উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারত স্কাউটস্ এন্ড গাইডস্ মালদহ জেলা শাখার সম্পাদক নিরঞ্জন প্রামানিক, জেলা রক্তদান শিবির আহ্বায়ক অনিল কুমার সাহা, মালদহ ব্লাড সেন্টারের চিকিৎসক সুশান্ত ব্যানার্জি সহ অন্যান্যরা। এদিনের এই শিবিরে মালদহ কলেজের পড়ুয়া ও অন্যান্যরা মিলিয়ে মোট ৭০ জন দাতা স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসেন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে রক্ত সংকট চলাকালীন মালদহ কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন জেলায় রক্তদান আন্দোলনের সাথে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা।মালদহ জেলা রক্তদান আন্দোলনের আহ্বায়ক মন্ডল সাহা বলেন, “করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই জেলায় রক্তদান শিবিরের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন স্তরে ক্লাব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সরকারি অফিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রক্তদান শিবির আয়োজন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনেকেই এগিয়ে আসছেন রক্তদান শিবির করতে। আগামীতে আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে। তবেই জেলায় রক্তের সংকট অনেকটাই পূরণ হবে।”