পুলিশি হেফাজতেই আত্মহত্যা করলেন মুম্বই বিমানসেবিকা খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা : খুনের অভিযোগ পুলিশি হেফাজতে ছিলেন, সেখানেই আত্মহত্যা করলেন মুম্বই (Mumbai) বিমানসেবিকা খুনে (Air Hostess Murder) অভিযুক্ত। মুম্বইয়ের আন্ধেরির লকআপ (Andheri Police Station) থেকে গলায় ট্রাউজার পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ। শুক্রবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে। গত রবিবার মুম্বইয়ে খুন হন বছর ২৩-এর এক বিমানসেবিকা। খুনের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছিল বিক্রম অটল নামে ওই ব্যক্তিকে।রক্তের ভেসে যাচ্ছে চারদিক, মাঝখানে গলাকাটা অবস্থায় ভাসছেন তরুণী। চলতি মাসের শুরুতে মুম্বইয়ের মারোল এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে এই ভাবেই উদ্ধার হয়েছিল বিমানসেবিকা রূপল ওগরের দেহ। তরুণীর খুনে মূল অভিযুক্ত সন্দেহে বিক্রম অটওয়াল নামে এক ৪০ বছরের ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। প্রাথমিত তদন্তের পর জানা যায়, রূপল যে হাউজিং সোসাইটিতে থাকতেন, সেখানকার ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করতেন বিক্রম। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁর স্ত্রীকেও।

     

    একটি বিমানসংস্থার শিক্ষানবিশ ছিলেন রূপল। তিনি ছত্তিসগড়ের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে গত এপ্রিলে মুম্বইয়ে এসেছিলেন। সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে বোন এবং বোনের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে থাকতেন ২৫ বছরের তরুণী। ঘটনার দিন, মেয়েকে বার বার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও পাননি তরুণীর মা-বাবা। ফোন বেজে বেজে কেটে গিয়েছিল বারবার। কিন্তু রূপল ফোন ধরেননি। এতেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল রুপলের মা-বাবার। তরুণীর মুম্বইয়ে থাকা বন্ধুদের ফোন করে সাহায্য চান তাঁরা। একবার মেয়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে খোঁজখবর নিতে অনুরোধ করেন। বন্ধুরা ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেখেন, তাঁর ফ্ল্যাট ভিতর থেকে বন্ধ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।

     

    পুলিশ এসে দরজা ভেঙে টুকতেই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা। পুলিশ দেখে রক্তের মধ্যে ভাসছেন রূপল। তাঁর গলার নলি কাটা। দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পর ‘মূল অভিযুক্ত বিক্রম অটওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি ক্লু খুঁজতে হাউজিংয়ের সিসিটিভি ক্যামেরা স্ক্যান করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছিল পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছিল। তারমধ্যেই এমন ঘটনা কার্যত চিন্তা বাড়াল। ঠিক কী যোগসূত্র ছিল বিক্রমের সঙ্গে এই খুনের? আসল খুনী কে? নেপথ্যে কারা? এখনও অধরা অনেক প্রশ্ন।