|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : যুগলকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মন্দিরবাজার থানা এলাকায়। ঘটনার চারদিনের মাথায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার ধৃতদের ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অন্যদিকে নিগৃহীতার পরিবারের দাবি, শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকে এই ধৃতরা। প্রথম দিন থেকে বারবার হুমকি দিয়ে আসছে। পুলিশ যাতে কড়া শাস্তি দেয়, দাবি নিগৃহীতার মা, বাবার।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক কলেজ ছাত্রী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এলাকার একটি রিসর্টের সামনে থেকে কয়েকজন তাঁদের তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই একটি ঘরে ওই তরুণীর প্রেমিককে আটকে রেখে পাশের ঘরে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর লাগাতার হুমকি দেওয়া হয়, কাউকে কিছু জানালে নগ্ন ছবি ফাঁস করে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় শাসকদলের যোগের অভিযোগ তোলেন নির্যাতিতার পরিবার।
রবিবারই মন্দিরবাজার থানা এলাকার ওই রিসর্টটি সিল করে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ভোরে গোপন আস্তানা থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্যাতিতা ছাত্রীর মা বলেন, “আমরা তো রাস্তায় বেরোতে পারছি না। ভয়ে ভয়ে বেরোচ্ছি। মেয়ে কলেজে যায়। ওদের যেন পুলিশ কিছুতেই না ছাড়ে। না হলে কিন্তু বড় বিপদ ঘটিয়ে দেবে ওরা।”ছাত্রীর এক আত্মীয়র কথায়, “যারা ধরা পড়েছে, তারা সমাজবিরোধী। কী কী করে বেড়ায় সকলে জানে। শাসকদল এদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। আমাদের পরিবারের উপর হুমকি আসছে। এসব ছেলের তো ফাঁসি হওয়া উচিত।” যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাপি হালদারের দাবি, ” আমরা তো বলেছি, অন্যায় যে করবে শাস্তি সে পাবেই। প্রশাসন ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করে ফেলেছে। যারা যারা যুক্ত কেউ ছাড় পাবে না। সে যে দলই করুক না কেন। অন্যায় করলে তৃণমূল জিরো টলারেন্স নীতিতে চলে।”