মানবতার জন্য অঙ্গীকার যাত্রা

সেখ সামসুদ্দিনঃ কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতেই বিভিন্ন সংস্থা তাদের সামর্থ্য অনযায়ী সাহায্যে হাতে বাড়িয়ে কাজ করে চলেছেন। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বেরুগ্রাম অঞ্চলে “সাহায্যের হাত” গ্রুপ নামে একটি সংস্থা অঞ্চলের কোভিড আক্রান্ত সহ সাধারণ দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে দুঃস্থ মানুষের জীবনযাত্রা ঠিক রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেরুগ্রাম অঞ্চলের ৫০-৬০ জন ছেলে ও মেয়ে মিলে মানুষের সাহায্যের জন্য কাজ করছেন। বর্তমানে তারা কোভিড পেশেন্টদের সার্বিক ভাবে সাহায্য করে চলেছেন। বর্তমানে জামালপুর ব্লকের বেরুগ্রাম জিপি এলাকার সকল দুঃস্থ মানুষকে সাহায্য করা তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার বলে জানান সংস্থার সভাপতি দেবাশীষ ব‍্যানার্জী। তাদের কর্মসূচিগুলি যথাক্রমে –

    ১) বেরুগ্রাম অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামের কোভিড পেশেন্টদের চিহ্নিত করে তাদের সাথে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রেখে সহায়তা করা, ২)প্রতিটি বাড়ির চারপাশ সপ্তাহে দু-তিন দিন করে স্যানিটাইজ করা, ৩)প্রতিগ্রামে ৪০-৫০ টি করে পরিবারকে স্যানিটাইজ করা, ৩)কোভিড পেশেন্টদের বাড়িতে প্রোটিনযুক্ত খাবার পৌঁছে দেয়া, ৪)প্রয়োজনে প্রতিটি বাড়িতে দোকান ও ঔষধপত্র কিনে দেওয়া, ৫)গ্রামের যেসব এলাকায় বর্তমানে জনসমাগম বেশি হয় (যেমন – দোকান/ব্যাংক/পোস্ট অফিস/বাজার/বিভিন্ন অফিস ইত্যাদি) সেইসব জায়গায় স্যানিটাইজ করা, ৬)গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মাক্স বিলি করা ইত‍্যাদি। বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাসানারা বেগম বলেন- “সাহায্যের হাত” গ্রুপের পরবর্তী যে পরিকল্পনা আছে তা যথাক্রমে ক)বর্তমান সময়ে পরিবারগুলিকে বস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে সাহায্য করা, খ)কোন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে না পারলে তার পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়া, গ)পরবর্তী সময়ে বছরে অন্তত দুটি করে সরকারি ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করা ইত্যাদি।এছাড়াও তিনি বলেন পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা যায় তার ব্যবস্থা করা হবে। সংস্থার সম্পাদক অমিত কুমার মন্ডল বলেন, পরবর্তী সময়ে তারা এই ধরণের কাজগুলো সারা জেলা জুড়ে করার পরিকল্পনা নেওয়ার চেষ্টা করবেন।