|
---|
সেখ মহম্মদ ইমরান, নতুন গতি, মেদিনীপুর: করোনা আবহে ছাত্রের অনাড়ম্বর পূর্ণ বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে পুষ্পস্তবক ও অন্য উপহারের পাশাপাশি মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তুলে দিলেন চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া।
রবিবারই সরকারি বিধি মেনে অনাড়ম্বর পূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের রাজাবাগান গ্রামের বাসিন্দা তথা খড়্গপুর আই আই টি সিইটি’র জুনিয়র প্রোজেক্ট অফিসার সাদ্দাম খাঁন ও পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুর ব্লকের জাহানবাড় গ্রামের বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক শিক্ষিকা মুক্তারুণ নেশা। সোমবার দুপুরে আত্মীয় ও সীমিত সংখ্যক অতিথির উপস্থিতিতে সাদ্দামবাবুদের রাজারবাগানের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হলো বৌভাত অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন সাদ্দামের মাধ্যমিক-উচ্চ-মাধ্যমিক স্কুল চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া। সেখানেই তিনি এই উপহার তুলে দেন।
সুদীপ বাবুর কথায়, বর্তমান করোনা আবহে উপস্থিত আত্মীয় ও অতিথিদের মধ্যে আরোও বেশি করে স্বাস্থ্য সচেতনতা বার্তা দিতে তাঁর এই উদ্যোগ। পদার্থ বিদ্যা নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ মেধাবী ছাত্র সাদ্দামবাবুর বাবা হানিফ খাঁন সাধারণ বিড়ি শ্রমিক এবং মা মানোয়ারী বিবি গৃহবধূ।জমি মাত্র ১২ কাঠা, তাও লিজে দেওয়া রয়েছে। সাধারণ প্রান্তিক বিড়ি শ্রমিক পরিবারে জন্ম নেওয়া সাদ্দামবাবু চার ভাইবোনের মধ্যে ছোট এবং আদরের। সাদ্দামের তিন দিদি অজুফা,সজুফা,আসরোফার বিয়ে আগেই হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠিত ছেলের বিয়ে ধূমাধামের সঙ্গে করা ইচ্ছা ছিল হানিফবাবুর। সেই মতো বছরের শুরুতেই পূর্ব মেদিনীপুরের জাহানবাড়ের সেক পিয়ারুল ইসলামের কন্যা পদার্থবিদ্যার স্নাতকোত্তর পাস মুক্তারুণ নেশার বিয়ের তারিখ ১৭ ই এপ্রিল ধার্য্য করে করে বিয়ের আয়োজনের কাজও অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়ছিলেন সাদ্দামবাবুর বাবা হানিফবাবু ও তিন জামাইবাবু ইসলাম খাঁন,জিয়ারত বিশ্বাস, আজাদ শাহরা। কিন্তু তাতে বাধ সাধলো করোনা।
শেষমেষ উভয় পরিবার আলোচনা করে সীমিত সংখ্যক আত্মীয় ও অতিথির উপস্থিতিতে বিয়ে হয় শনিবার আর বৌভাত সোমবার। কেবল বাবা, এক জামাইবাবু আর এক ভাগ্নীকে নিয়ে করতে গিয়েছিলেন সাদ্দামবাবু। অন্যদিকে সরকার বিধি রক্ষায় বৌভাতেও আসেনি কন্যা পক্ষের কেউই। বৌভাতে শুধু হাজির হয়েছিলেন সাদ্দামের মামাবাড়ির লোকজন,মাসীরা,পিসিরা ও অন্য আত্মীয়রা আর একেবারের সীমিত সংখ্যক অতিথি।