|
---|
নতুন গতি, কেশপুর: কেশপুর ব্লকের ঝেঁতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঐক্য সম্মিলনী আয়োজিত সার্বজনীন দুর্গোৎসবের শুভ সূচনা হল।
কেশপুর বিধানসভা নির্বাচন ক্ষেত্রের সম্মাননীয়া বিধায়ক তথা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি শিউলি সাহা মহোদয়া লমণ্ডপের ফিতে কেটে শারদ মাতার প্রতি অঞ্জলি নিবেদন করেন। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবী দুর্গার বোধনে তাঁর সাথে
ছিলেন বিশিষ্ট অতিথিবর্গ।
উদ্বোধক শ্রীমতি শিউলি সাহা তাঁর বক্তব্যে এলাকায় সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে যে শারদীয়া অনুষ্ঠান চলছে তার ধারা জারি রাখার আহ্বান জানান। পাশাপাশি ঝেঁতলা রবীন্দ্র_ নজরুল স্মৃতি সংঘের সার্বিক সহায়তায় যে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে তা নিয়ে তাঁর খুশি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট সমাজসেবী উত্তমানন্দ ত্রিপাঠী মহাশয় ঝেঁতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসবের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন_” শারদোৎসব আমাদের হৃদস্পন্দন। তার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার যে কর্মসূচি ঐক্য সম্মিলনী নিয়ে থাকে তা আমাদের প্রাণিত করে।”
অনুষ্ঠানের বিশিষ্ট অতিথি শিক্ষক তথা সমাজসেবী চিত্তরঞ্জন গরাই মহাশয় তাঁর বক্তব্যে ঝেঁতলার অতীত ঐতিহ্য স্মরণ করে সবাইকে শারদ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
২৪ তম বর্ষের এই সার্বজনীন দুর্গোৎসব মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী দুর্লভ ঘোষ, প্রদ্যুৎ পাঁজা, হাবিবুর রহমান, নীলমাধব পোড়্যা, সরফরাজ আলি ,সেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যতম অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা_ ক্রীড়া_,তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ সামসেদা বেগম, ঝেঁতলা শশীভূষণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ প্রসাদ চৌধুরী, শিক্ষক চঞ্চল হাজরা মহাশয়।
এলাকার দুই বিশিষ্ট সমাজসেবী করুণা সিন্ধু দন্ডপাট ও ভাস্কর চৌধুরী মহাশয় অনুষ্ঠানটি সফল করতে প্রভূত সাহায্য করেন।
উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। সকালে অনুষ্ঠিত রক্তদান শিবিরের রক্তদাতাদের শংসাপত্র ও তুলে দেওয়া হয়।
পুজা কমিটির পক্ষে সভাপতি তন্ময় মন্ডল ও সম্পাদক সোমনাথ দন্ডপাট জানান_”কোভিড পরিস্থিতিতে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না থাকলেও আমরা ঝেঁতলা রবীন্দ্র_নজরুল স্মৃতি সংঘের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সকালে রক্তদান শিবির আয়োজন করেছি। তৎসহ বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান প্রতিযোগিতায় আমরা এবার ও প্রতিযোগী। সকালে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের প্রতিনিধিরা মণ্ডপ ও সামগ্রিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে গেছেন। বন্যা দুর্গত মানুষদের পাশে থাকতে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাব।” অনুষ্ঠানে শিশু শিল্পী অঙ্কিতা চৌধুরী নৃত্যে সংগীতে সবাইকে খুশি করে।
সামগ্রিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষক স্নেহাশিস চৌধুরী ও অন্যতম সদস্য আশিস নাগ।