|
---|
আলিফ ইসলাম,মেমারি : ২৪জুলাই, রবিবার, হুগলী জেলার মগরা বারোয়ারী তলা মন্দির প্রাঙ্গণে মগরা কবিতা বিতান এর উদ্যোগে সারাদিন ব্যাপী মগরা কবিতা উৎসব (প্রথম বর্ষ) অনুষ্ঠিত হল। বলাগড় এর বিধায়ক তথা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর অকুণ্ঠ সহযোগিতায় সত্যরঞ্জন ঘরামি, দুর্গা সাউ,ড: অসীম রায়, সুব্রত দে,হেমা রায়,অসীম কুন্ডু, মহাদেব দাস প্রমুখের নিরলস ঐকান্তিক প্রয়াসে মগরা কবিতা উৎসব দারুন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে যথেষ্ট সফল ভাবে অনুষ্ঠিত হল। বিভিন্ন জেলা থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়,শ্যামল ভট্টাচার্য্য,নিমাই দেবনাথ,দেবকী দুলাল চক্রবর্তী, সুফি রফিক উল ইসলাম,রাম পাত্র, বাসুদেব মন্ডল,তপন বৈরাগ্য,বিমল বসু, বাসুদেব মাল, নাসিমা বেগম বুলু,বিমল পাল, শুভেন্দু চক্রবর্তী,চিন্ময়ী মিত্র,তপন রায়,মলয় হালদার,রবিন বিশ্বাস, জগদীশ পাল, দেবানন্দ বিশ্বাস, শিবনাথ মন্ডল, জয়দেব মান্না, সুশীল রায় প্রমুখ প্রায় পঁচাত্তর জন কবি বৃষ্টি স্নাত দিনেও উপস্থিত থেকে কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, সঙ্গীত পরিবেশন করেন যথেষ্ট সুচারু ভাবে। এই মনোমুগ্ধকর সাহিত্য সভায় উপরি পাওনা অবশ্যই প্রধান অতিথি মনোরঞ্জন ব্যাপারীর মন কেড়ে নেওয়া বক্তব্য। প্রত্যেক কবি কে কবিতা পাঠের পরে উত্তরীয় হিসাবে ব্যবহার যোগ্য গামছা এবং শংসাপত্র প্রদান করে বরণ করে নেওয়া হয়। উদ্যোক্তাদের নিকট হতে জানা যায় গামছা প্রদান করার পিছনে বিশেষ কারণ।তা হল উত্তরীয় হিসাবে এখন যা দেওয়া হয় তা অর্থাৎ একফালি কাপড়ের টুকরো টি কোন প্রকার কাজে লাগে না। কিন্তু গামছা টি গা মোছা থেকে শুরু করে ঘাম মোছা,গরমের সময় মাথায় জড়িয়ে নিয়ে রোদ থেকে সামান্য হলেও মুক্তি, মাথায় বিঁড়ে করে নিয়ে মালপত্র বহন করা যায়,স্নানের সময় পরা যায়, মাটিতে পেতে নিয়ে শুয়ে ঘুমানো যায়, আবার প্রতিপক্ষ কে গলায় জড়িয়ে দিয়ে টেনে আনা কিংবা প্রতিপক্ষ কে আঘাত করতে গিয়ে এক টুকরো ইঁট গামছার প্রান্তে বেঁধে নিলে অস্ত্র হিসাবেও ব্যবহার করা সম্ভব।যাই হোক না কেন উত্তরীয় প্রদানের এই অভিনবত্ব একটা অন্য পথ অবশ্যই দেখিয়েছে।