মল্লারপুরের পর লাভপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, ফের বিস্ফোরণ ঘটলো বীরভূমে

নিশির কুমার হাজরা। বীরভূম:পশ্চিমবাংলায় রাজনৈতিক বাতাবরণে বিস্ফোরণের ঘটনা আজ নতুন নয় । জেলায় জেলায় গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে । শাসক দল নীরব থেকেই এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা মানুষের কাছে আজ কোন প্রভাব ফেলছে বলে মনে হয় না।

    মানুষ মানুষের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং জাতিগত গোষ্ঠীগত এবং রাজনৈতিক দল গত বিচ্ছেদের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ফলে ওই ক্লাব বা ওই গোষ্ঠী শাসকদলের নয়, ওরা বিজেপি। না কংগ্রেস। তাই ওদের ওখানে বাইরে থেকে বোমা এনে মজুত করা ছিল। তাই বিস্ফোরণ হয়ে গেছে । এ ধরনের কথা শাসকদলের নেতা নেতৃত্তের মুখে শোভা পেলেও সাধারণ শিক্ষিত সচেতন মানুষ আজ বুঝতে পেরেছে যে এই বিস্ফোরণ কোন বাইরের জঙ্গি সংস্থার ঘটানো নয়। এই বিস্ফোরণ এই রাজ্যের জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যারা রাজনৈতিক দলের হয়ে দুষ্কৃতীর কাজকর্ম করে চলেছে। এটি তাদের ই ঘটনা ।

    যার ফলে বীরভূমের মল্লারপুর মেঘদুত ক্লাব বিস্ফোরণ হওয়ার পরপরই যেখানে মানুষের চিকিৎসা হয় সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটল। এই ঘটনা বড় লজ্জার এবং দুঃখের । এ কথা বললেন লাভপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলীর একাংশ।

    বৃহস্পতিবার ভোরে বীরভূমের লাভপুরে ঘটলো বিস্ফোরণ। মাত্র দুই দিন আগেই বীরভূমের মল্লারপুরে বোমা বিস্ফোরণে একটি ক্লাবের দেওয়াল উড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিস্ফোরণ ঘটলো। লাভপুরের দাঁড়কা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি পরিত্যাক্ত আবাসনে বৃহঃস্পতিবার ভোরে এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতার জোরে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দেওয়াল ভেঙ্গে পড়ে। চারিদকে ছড়িয়ে পড়ে কংক্রিটের টুকরো। পুলিশ ক্যাম্প থেকে মাত্র কয়েক মিটার দুরত্বে অবস্থিত এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কিভাবে বিস্ফোরণ হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য ২০১৭ সালেও লাভপুর ব্লকের একটি গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের।