|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : মায়ের প্রেমিকের হাতেই খুন কিশোর৷ আট বছরের কিশোরের দেহ উদ্ধার হল পূর্ব রেলের লিলুয়া এবং বেলুড় স্টেশনের মাঝে ভট্টনগর কেবিনের সামনে ট্রেনের ফাঁকা বগি থেকে৷ মৃত কিশোর নদিয়ার চাপড়ার বাসিন্দা৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে লিলুয়া থানার পুলিশ৷ দেহ উদ্ধারে সাহায্য করেন কিশোরের মা নিজেই৷
পুলিশ সূত্রে খবর, সন্তানের জন্মের কয়েক বছর পর ওই কিশোরের বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে যান৷ সেই সময় সন্তানকে বড় করতে এক মাদ্রাসার শিক্ষকের সাহায্য নেন কিশোরের মা৷ সেই সূত্রে দু জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে৷ বেশ কয়েকদিন আগে, ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আলি হাসান শেখের সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে ঝাড়খণ্ডে চলে যান কিশোরের মা৷ সেখানেই একটি নার্সিংহোমে আয়ার কাজ শুরু করেন তিনি৷কয়েকদিন ধরেই ওই মহিলা আলি হাসানকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন৷ তখনই বাধে সমস্যা৷ বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কিশোর ৷ সেই কিশোরকে বাইরে আবাসিক মাদ্রাসায় পাঠানোর নামে শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের একটি স্টেশনে নিয়ে আসে ওই মাদ্রাসা শিক্ষক৷ সেখানেই তাকে খুন করে ফেলে দেওয়া হয় একটি মালগাড়ির বগির ভিতরে৷ এই খুনে বাধা দিতেই কিশোরের মায়ের উপর হামলা করে অভিযুক্ত আলি হাসান৷ কোনও রকমে খুনি প্রেমিকের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালিয়ে ট্রেনে উঠে পালিয়ে যান ওই কিশোরের মা৷বর্ধমান স্টেশনে পৌঁছে আহত অবস্থায় ওই মহিলা আরপিএফ-এর সাহায্য চান৷ সেখানেই পুরো ঘটনা বলতেই সেই মালগাড়ির খোঁজ শুরু করে রেল পুলিশ৷ খবর দেওয়া হয় বিভিন্ন স্টেশনে৷ খোঁজ মিলতে লিলুয়ার কাছে মাল গাড়ি দাঁড় করিয়ে শুরু হয় তল্লাশি৷ সেখানেই উদ্ধার হয় কিশোরের দেহ৷
ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত আলি হোসেন শেখের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি৷ ঝাড়খণ্ডে তল্লাশিতে গিয়েছে হাওড়ার লিলুয়া থানার পুলিশের বিশেষ দল৷ কিশোরের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷