|
---|
লুতুব আলি, নতুন গতি : নদীয়ার নাজিরপুর ও করিমপুর সৎসঙ্গ বিহারের উদ্যোগে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৬ তম আবির্ভাব দিবস পালিত হয়। নাজিরপুর সৎসঙ্গ এর পক্ষ থেকে অমর মন্ডল ও করিমপুর সৎসঙ্গের পক্ষ থেকে ঋত্বিক সুনীল প্রামানিক, ফনি ভূষণ ঘোষের পরিচালনায় অনুষ্ঠান গুলি সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়। শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বাংলা ১২৯৫ বঙ্গাব্দের ৩০ ভাদ্র বাংলাদেশের পাবনা জেলার হিমায়িতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব অবস্থা থেকেই অনুকূল চন্দ্র চক্রবর্তী আধ্যাত্মিক চেতনায় শানিত ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁর দর্শন সমগ্র পৃথিবীব্যাপী আলোড়িত করে। ভারতের ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে তিনি সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন। ঠাকুরের দর্শন হল : ধর্ম কোন অলৌকিক ব্যাপার নয় বিজ্ঞান সিদ্ধ জীবনসূত্র ; ভালোবাসায় মহা মূল্য যা দিয়ে শান্তি কেনা যায় । শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের এই দর্শন ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল, বার্মা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমাদৃত হয়েছে। ঠাকুরের দীক্ষিত বেতার, দূরদর্শন খ্যাত আন্তর্জাতিক সংগীত শিল্পী কৃষ্ণা মন্ডল নাজিরপুর ও করিমপুর সৎসঙ্গ বিহারের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কৃষ্ণা মন্ডল বলেন, নাজিরপুর ও করিমপুর সৎসঙ্গ বিহারের নির্ঘন্ট অনুযায়ী ঠাকুরের আবির্ভাব দিবসের অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। ভোরে মাঙ্গলিক ঊষা কীর্তন অনুষ্ঠানের পর আনন্দবাজার এ শত শত মানুষ আনন্দ উপভোগের মাধ্যমে ভোগ গ্রহণ করেছেন এক দৃষ্টান্তমূলক। তিনি আরও বলেন নাজিরপুর ও করিমপুরের মানুষেরা তাঁকে অন্তর থেকে ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসার টানেই তিনি প্রতিবছর এখানে অনুষ্ঠান করতে আসেন। এই দুই জায়গার সঙ্গীতানুষ্ঠানে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী কৃষ্ণা মন্ডলের অগ্রজ বেতার ও দূরদর্শন শিল্পী রবিউল আলম সহ ছায়া দাস বৈরাগ্য, রিতা সমাজপতি, শিল্পী সরকার প্রমুখরা অংশগ্রহণ করেন।