নন্দন প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হলো সুতানুটি শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল।

লুতুব আলি, নতুন গতি : বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক ও অনেক গুণী মানুষদের উপস্থিতিতে দেখানো হলো কুড়িটির ওপর ছবি। তার মধ্যে কনক নির্বাক পুণ্যভূমি আদিনাথ ও একটি সেতু ময়ার টানে ইতি রেণু উল্লেখযোগ্য। অনুষ্ঠান শেষে অনেক ছবিকে পুরস্কৃত করা হয়। পুণ্যভূমি পুরস্কৃত হয়েছে শ্রেষ্ঠ মিউজিক বিভাগে ইতি রেনু মায়ার টানে ছবি হিসেবে পুরস্কৃত হয়। পুণ্যভূমি ছবির পরিচালক কৌশিক ঘোষ বলেন তিনি টিভি সিরিয়ালে এক সময় নিয়মিত অভিনয় করেছেন। উৎপল দত্তর নাট্য দলে অনেকদিন অভিনয় করেছেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তিনি এখন লিখে চলেছেন। ছবি তৈরির কাজ এই প্রথম এবং পুরস্কার পাওয়াতে তিনি খুবই উৎসাহিত হয়েছেন। তিনি ভবিষ্যতে এরকম ছবি আরো করার জন্য আশ্বাস দেন। তিনি আরও বলেন, দেশের যা ঘোলাটে পরিস্থিতি এইরকম একটি বিপর্যস্ত অবস্থায় শিল্পী সাহিত্যিকদের দায় এখন সবচেয়ে বেশি। পুন্যভূমির লেখক এবং পরিচালক কৌশিক ঘোষ। এই ছবিতে বৈপরীত্য তুলে ধরা হয়েছে। একদিকে কম্পিউটার আবার থালা বাজিয়ে রোগ তাড়ান। সমগ্র ছবিটি অভিনব টেকনিকে বানানো। টুকরো টুকরো ছবি জুড়লে গভীর মানে। নানা খণ্ড দৃশ্য। ডায়লগ প্রায় নেই বললেই চলে। খেতে না পাওয়া একজন মানুষ রাস্তায় বসে কাঁদে পেছনে আম্বেদকর বিবেকানন্দর ছবি যাঁরা শোষণহীন সমাজ জাত পাতের কলহের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এরকমই অভিনব দৃশ্য নিয়ে এই ছবি। কৌশিক বাবু একপ্রকাশ হতাশ হয়ে গেছেন যে আমরা যে পুণ্যভূমি র আশা করেছিলেন তাতে বস্তুতপক্ষে কতটুকু পাওয়া গেছে ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন সারা জীবন ধরে। তাই তিনি এই রকম একটি জীবনমুখী ছবি দর্শকদের সামনে উপহারস্বরূপ নির্মাণ করেছেন। এই ছবির উল্লেখযোগ্য দিকগুলির মধ্যে দেখানো হয়েছে আপাত দৃষ্টিতে উন্নত ডিজিটাল ভারতের আড়ালে এক দরিদ্র ভারতের গল্পের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। পশু মানুষ কাড়াকাড়ি করে ডাস্টবিন থেকে খাবার কুড়িয়ে খায়। বন্ধে ভারত ট্রেন হাইরাইজ বিল্ডিং আবার বেকার মানুষ থালাবাজান কতগুলো হাত নির্দেশ করে অবৈজ্ঞানিক ঘটনা। একটি বিভাগের ছবিটি পুরস্কৃত হলো। বিশেষ জুড়ি সম্মান। ক্যামেরা এডিটিং করেছেন দেব গৌতম। প্রযোজনা রিতু ধুরকা।