উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারের আগে চিন্তায় ফেলছে প্রকৃতি

দেবজিৎ মুখার্জি: ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক ৪১ জন শ্রমিককে। একের পর এক বাধার সম্মুখীন হয়েছে উদ্ধারকারী দল। এবার তাদের লড়াই প্রকৃতির সঙ্গে! হাড় কাঁপানো শীত সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়া দপ্তর। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রকৃতির মারে ফের থমকে না যায় উদ্ধারকাজ।

    জানা গিয়েছে, উত্তরকাশীতে তাপমাত্রা ইতিমধ্যে ৪ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। এর পর তা আরও কমবে। জমে যাওয়ার মতো সেই ঠাণ্ডার সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। এর মধ্যে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, উত্তরাখণ্ডে ৪ হাজারের উপর উচ্চতায় তুষারপাত হতে পারে। সব মিলিয়ে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার প্রকৃতির মার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে উদ্ধারকারীদের। তবে প্রশাসন নিশ্চিত করেছে,  যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই কাজ অব্যাহত থাকবে।

    এই বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের সড়ক ও পরিবহণ বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিক মেহমুদ আহমেদ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, “উদ্ধারকারী দলকে সবরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাই এটা আমাদের কাছে কোনও উদ্বেগের কারণ নয়।” তিনি আরও জানিয়েছেন, গতকাল থেকে সুড়ঙ্গের উপর দিক থেকে উল্লম্বভাবে মাটি কাটার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর যদি কোনও বাধা না আসে তাহলে বৃহস্পতিবারের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে আশা করা যাচ্ছে।

    এদিকে যত সময় গরাচ্ছে উদ্বেগ বাড়ছে আটকে থাকা শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে। ইতিমধ্যে তাঁদের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে রোবট। এনিয়ে সেখানে উপস্থিত রোবট বিশেষজ্ঞ মিলিন্দ রাজ জানিয়েছেন, সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখা হচ্ছে। আমাদের কাছে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করার সিস্টেম রয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবাও প্রদান করা হয়েছে। এই রেসকিউ রোবোটিক সিস্টেম টানেলের ভিতর মিথেনের মতো বিষাক্ত কোনও গ্যাস তৈরি হয়েছে কি না তাও খুঁজে বের করবে।