মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ নিশিকান্ত দুবের

দেবজিৎ মুখার্জি: টাকার বদলে প্রশ্ন ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিপত্তি বাড়ছে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ নিয়ে হাজির বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর দাবি, মহুয়া মৈত্র যে সংসদের ওয়েবসাইটের লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকে দিয়েছিলেন, সেটা ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের কাছে পাওয়া তথ্যে প্রমাণিত।

    সোশাল মিডিয়ায় সরাসরি তৃণমূলকে বিঁধে বিজেপি সাংসদ বলছেন, সামান্য কিছু টাকার জন্য একজন তৃণমূল সাংসদ গোটা দেশের নিরাপত্তাকে বন্ধক রেখেছেন। এনআইসি’র দেওয়া তথ্য বলছে, সংসদের ওয়েবসাইট দুবাই থেকেও খোলা হয়েছে। যে সময় ওই ওয়েবসাইট দুবাই থেকে খোলা হয়েছে, সেসময় তথাকথিত ওই সাংসদ ভারতেই ছিলেন। তাহলে দুবাই থেকে সংসদের ওয়েবসাইটে লগ ইন হল কী করে? প্রশ্ন দুবের। তৃণমূলকে বিঁধে বিজেপি সাংসদ প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, এর পরও কি তৃণমূল-সহ বিরোধীরা রাজনীতি করবে।

    উল্লেখ্য, যার কাছে টাকা নিয়ে আদানিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করার অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে উঠেছিল, সেই দর্শন হীরানন্দানি একটি বিবৃতিতে সব অভিযোগই কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর বিবৃতি অনুযায়ী, মহুয়ার কাছ থেকে ব্যবসায়ীক সুবিধা পাওয়ার আশায় তিনি তাঁকে দামি উপহার, বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার খরচ, দিল্লির বাংলো সারাইয়ের টাকা সব দিয়েছেন। এমনকী মহুয়া তাঁকে সংসদের লগইন আইডি দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন দর্শন।

    সেই হলফনামা সংসদের এথিক্স কমিটিতে জমা পড়েছে। ওই হলফনামা জমা পড়তেই এথিক্স কমিটির প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকর মুখ খুলেছেন। সোনকর বলেছেন, ‘‘সংসদের লগিং আইডি সাংসদ বাদ দিয়ে অন্য কারও ব্যবহার করা গুরুতর অপরাধ। যে অভিযোগ উঠেছে, তা সংসদের ইতিহাসে নজিরবিহীন।” মহুয়াকে বড় শাস্তি পেতে হবে বলেই ইঙ্গিত তাঁর। পালটা অবশ্য এসেছে মহুয়ার তরফেও। তিনি বলে দিয়েছেন, এথিক্স কমিটির প্রধান সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। যা লোকসভার নিয়মের বাইরে। বিজেপির এখন একটাই উদ্দেশ্য, আমায় লোকসভা থেকে বাইরে বের করে দেওয়া, যাতে আমি আদানি নিয়ে কিছু বলতে না পারি।”