ভিন রাজ্যের বিপাকে পরা পরিযায়ী শ্রমিকদের দলের পাশে সাংবাদ কর্মী থেকে সমাজসেবী

কোচবিহার: ভিন রাজ্য থেকে এ রাজ্যে কাজে এসে বিপাকে পরিযায়ী শ্রমিকের দল ।অসহায় ২ শিশুসহ ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের পাশে দাঁড়ালো সংবাদ কর্মী থেকে সমাজ সেবী।ব্যবস্থা করা হলো বাড়ি ফেরার এবং রাতের খাবারের।

    দুদিন আগে মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে কোচবিহারে কাজের উদ্দেশে এসে ছিলেন দুই শিশু সহ চারজন পরিযায়ী শ্রমিক। তবে কোচবিহারে যে ঠিকাদারের অধীনে তাদের কাজ করার কথা ছিল সে দারাতে বলে আর ফিরে আসেন নি বলে অভিযোগ, অসহায় অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কোচবিহারে স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকেন তারা, কিন্তু খোঁজখবর তারা পাননি। দুদিন বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে কাটিয়ে ঠিকাদারের খোঁজ চালান সেই পরিযায়ী শ্রমিক এর দল। তবে তাদের কোন খোঁজ খবর না পেয়ে শেষমেষ মহারাষ্ট্র ফিরে যেতে চান তারা। তবে বাঁধ সাধে আর্থিক সংকট। কেন না কাজে যোগ দিতে এসে এমনিতেই খরচা হয়ে গিয়েছে পকেটে থাকা শেষ সম্বল টুকু। তাই দুদিন থেকে না খেয়েই দিন কাটছিলো তাদের।

    সাহায্যের জন্য ধূপগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল সেই পরিযায়ী শ্রমিকের দল। বিষয়টি নজরে আসে ধূপগুড়ি প্রেস ক্লাবের সদস্যদের। প্রেস ক্লাবের সদস্যদের সামনে তারা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এর পরেই প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক সদস্যরা টাকার ব্যাবস্থা খাবারের ব্যাবস্থা করেন। এরপর ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং এবং স্থানীয় এক সমাজসেবী অসীম পালের সহযোগিতায় সেই অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে রাতের খাবার তুলে দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ফিরে যাওয়ার ট্রেনের টিকিটের খরচা তুলে দেওয়ায় খুশি পরিযায়ী শ্রমিকরা।

    প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে খুশি হয়েছেন সেই পরিজায়ী শ্রমিকরা। প্রেস ক্লাবের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কিছু মানুষ অসহায় অবস্থায় রাস্তায় পাশে বসে ছিলেন সঙ্গে দুই শিশু সন্তান ছিলো। তাদের কথা শুনে প্রাথমিক মনে হয়েছে যে তারা সমস্যায় রয়েছেন। এই কারণে মানবিক দিক থেকে বিচার করে আমরা সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।

    খবর করাটাই যে উদ্দেশ্য নয় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াও দায়িত্ব এটা আরো একবার প্রমান করে দিল প্রেসক্লাব।