|
---|
হরিশ্চন্দ্রপুর, মহ: নাজিম আক্তার,১১ নভেম্বর:বিজেপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ও এন.আর.সি এর প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিল করল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সারা রাজ্যের সাথে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের ৭ টা ও ২ নং ব্লকের ৯টা মোট ১৬ টা জিপি এলাকায় এই প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তজমুল হোসেন ,স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিনের এই মিছিল থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর তৃণমূল নেতৃত্ব অসমে এনআরসি নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি বাংলা জুড়ে যেভাবে বিজেপির সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে তা নিয়ে সোচ্চার হোন সকলেই। শুধু তাই নয় এই বাংলায় এনআরসি চালু করতে দেওয়া হবে না এদিনের এই মিছিল থেকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন।
এন. আর. সি’র নামে বাঙালীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে কেন্দ্র সরকার এই অভিযোগ তুলে আজকের এই ধিক্কার ও প্রতিবাদ মিছিল।
মিছিলে অংশ গ্রহণকারীদের দাবী আমরা বাংলায় বসবাস করি,বাংলা ভাষাকে নিজের মাতৃভাষা জানি ,আমাদের বাংলায় এন আর সি চালু করে আমাদেরকে বিপদে ফেলার যে চক্রান্ত কেন্দ্র সরকার করছে, তা আমরা মানবো না। বাংলায় কোন ভাগ হবে না।
আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জী থেকে (এনআরসি) যে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে, তাদের সামনে এখন একটাই রাস্তা – আর সেটা হল নিজেকেই প্রমাণ করা, যে তিনি অবৈধ বাংলাদেশি নন – ভারতের নাগরিক।
আর এই প্রমাণের জন্য তাদের এখন পাড়ি দিতে হবে একটি দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পথ।
আইন অনুযায়ী, এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের নিজেদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য আগামী ১২০ দিনের মধ্যে বিদেশি ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানাতে হবে ।
বলা হয়েছে বিশেষভাবে তৈরি ট্রাইবুনাল ছাড়াও তারা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টেও আপিল করতে পারবেন।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে আদালতে গিয়ে দীর্ঘ, জটিল এবং ব্যয়বহুল আপিল প্রক্রিয়ার সুবিধা কতজন নিতে পারবেন?
কাউকে বাংলা থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। এই দাবি নিয়েই হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা পরিক্রমা করে ওই তৃণমূল সংগঠন।
প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেন, জানান কেন্দ্রীয় সরকারের মনমানী চলবে না আমাদের বাংলায় এখানে আমরা সম্প্রীতি নিয়ে বসবাস করে আসছি, আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নাই। কিন্তু কেন্দ্র সরকার চাইছে বাংলার জাতি বিভাজন হোক। আমরা এরই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছি। আগীমী দিনে আমাদের সংগঠন সারা দেশ জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।সরকারের জন বিরোধী নীতির বিরোধিতা করে এই মিছিলে এতো মানুষ পা মিলিয়েছিলেন যা ছিল চোখে পড়ার মতো।