|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : পরশুর ঘটনা, সকাল ১১.৩০। রোদ তখনই বেশ চড়া। হঠাৎ কালিকাপুরে অভিষিক্তার সামনের রাস্তায় ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান একজন বৃদ্ধ মানুষ। জ্ঞান হারান প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই।
অচৈতন্য অবস্থাতেই তাঁকে দ্রুত নিয়ে আসা হয় অভিষিক্তার কাছে ট্রাফিক কিয়স্কে। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় মানুষটির। বয়স সত্তরের কোঠায়। হাতে ভেইন চ্যানেল করা। দেখেই মনে হচ্ছিল কোনও চিকিৎসা-প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন তিনি।
প্রাথমিক চিকিৎসার পরে জ্ঞান ফিরে পান মানুষটি। জানা যায়, তাঁর নাম পুরাণ মোর্তাল। মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে ডায়ালিসিস চলছিল তাঁর। ডায়ালিসিসের পর বাড়ি ফেরার পথেই অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারান পুরাণ মোর্তাল।
ইতিমধ্যে খবর পেয়ে চলে এসেছে কলকাতা পুলিশের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স। পুরাণ মোর্তালের শারীরিক অবস্থা তখনও বেশ সঙ্কটজনক। অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে নিয়ে দ্রুত মেডিকা-র উদ্দেশ্যে রওনা হন পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট জয়জিৎ সাহা।
কালিকাপুরে পুরাণ মোর্তালের বাড়িতে খবর পৌঁছে দেন সার্জেন্ট সুকান্ত শিকদার। খবর পেয়ে হাসপাতালে চলে আসেন তাঁর স্ত্রী ও পুত্র।
আপাতত মেডিকা-তেই চিকিৎসা চলছে পুরাণ মোর্তালের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সময়মতো প্রাথমিক চিকিৎসা না পেলে এবং হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হলে হয়তো বড় কোনও বিপদ হতে পারত তাঁর।
নিচে ছবি থাকল পুরাণ মোর্তালের। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের দায়িত্বরত দুই সার্জেন্ট জয়জিৎ সাহা এবং সুকান্ত শিকদার।