পাঁড়ুই কান্ডে এস আই সাসপেন্ড

নিশির কুমার হাজরা, নতুন গতি,  বীরভূম : বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বীরভূমের পারুই। বেশ কয়েকদিন জুড়ে এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ভাঙচুর, হুমকি চলতে থাকার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায় রাজনৈতিক মহলে!

    সম্প্রতি শনিবার পুনরায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পারুই থানার হাট ইকরা গ্রাম! লাঠি হাতে গ্রামের মহিলারাও যখন শাসকদলের দুষ্কৃতীর সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন পারুই থানার পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে শাসকদলের হয়েই কাজ করে চলায় জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেন।

    প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় এক বিজেপি কর্মী সনৎ দাসের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারপর শনিবার এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ওই ঘটনার প্রতিবাদে ও এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবিতে পথ অবরোধ করে।

    বিজেপির পথ অবরোধ করা কালীন ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে এক আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায় কিন্তু সেসময় তৃণমূলের কয়েকজন কর্মীকে ঘটনাস্থলে দেখতে পাওয়ায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা লাঠি নিয়ে তাদের তাড়া করতে শুরু করে! তিনজন তৃণমূল কর্মীকে পুলিশের সামনেই গণপিটুনি দেওয়া হয়!

    ওই ঘটনায় শনিবার রাতেই পারুই থানার পুলিশ দুপক্ষের ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ! সূত্রের খবর ওই ঘটনায় পারুই থানার সাব-ইন্সপেক্টর কে সাসপেন্ড করা হয়েছে! রাজনৈতিক মহলের মন্তব্য পুলিশের সামনে জনতার গনপিটুনি ঘটার ফলে পুলিশ অফিসার কে এই কোপের মধ্যে পড়তে হল।

    সাব ইন্সপেক্টর সাসপেন্ডের ঘটনায় একই মাসে বীরভূমের তিন পুলিশ অফিসার কে সাসপেন্ড করার মত ঘটনা ঘটল। চলতি মাসের ৬ তারিখ বীরভূমের সাসপেন হয় দুই পুলিশ অফিসার! একজন হলেন মল্লারপুর থানার ওসি টুবাই ভৌমিক। তিনি মল্লারপুর মেঘদুত ক্লাবে বিস্ফোরণের ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া এবং তার ওপর বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অন্যদিকে সেদিনই সাসপেন হয় লাভপুর থানার এস আই পার্থ সাহা। তিনি সাসপেন হন লাভপুর দাঁড়কা গ্রামের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিত্যক্ত আবাসনে বিস্ফোরণের ঘটনায়।