ধর্ষণ’ থেকে বাঁচতে ‘ধর্ষক’কে খুন করে মাটিতে পুঁতেরেখে ৩ দিন পর ধরা দিলেন গৃহবধূ

জাকির হোসেন সেখ, ২৮ জুলাই, নতুন গতি, উস্থি: অভিযোগ, স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধূকে ধর্ষণ করতে এসেছিল প্রতিবেশী যুবক তপন সাউ। আর তখনই নিজেকে বাঁচাতে লোহার রড দিয়ে ওই যুবককে খুন করে ওই গৃহবধূবধূ। তারপর বা

    ড়ির পিছনে কলা বাগানে দেহ পুঁতে দেন। তিনদিন পর, গতকাল ২৭ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় উস্থি থানায় গিয়ে নিজেই সেই খুনের কথা স্বীকার করলে হতভম্ব হয়ে যায় পুলিশ। পরে ওই গৃহবধূকে সঙ্গে নিয়ে, গ্রামে এসে গভীর রাতে মৃতদেহ উদ্ধার করে উস্থি থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অন্তর্গত মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের উস্তি থানা এলাকার সরাচি গ্রামে।

    গত ২৫ জুলাই রাত থেকে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ২৫ বছরের যুবক তপন সাউ নিঁখোজ ছিলেন। তাঁর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও হদিশ করতে পারেনি তপনের। তারপর গতকাল রাতে দেহ উদ্ধারের পর খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
    গতকাল রাত ১০টা নাগাদ, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উস্থি থানার পুলিশ তপনের সাউয়ের দেহ উদ্ধার করে। খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হ‌ওয়া বছর তিরিশের অনিতা মণ্ডল নামের ওই গৃহবধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তপন তাকে বিরক্ত করছিল। ওই দিন রাত ১টার সময় স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে হঠাৎ হাজির হয়। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন হাতের কাছে একটি লোহার রড পেয়ে, তাই দিয়েই তপণের মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে তপন।
    তবে পুলিশ সূত্রে খবর, অনিতার বক্তব্যে কিছু অসঙ্গতিও রয়েছে। এক বার তিনি বলেছেন, তাঁর ছ’বছরের মেয়ে কোয়েলকে মারার চেষ্টা করেছিল ওই তপন। তখন লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    তবে গ্রামের বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন, তপনের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। পুলিশ অনিতাকে গ্রেফতার করেছে। অনিতার স্বামী ফেরার। অনিতা স্বীকার না করলেও, পুলিশের অনুমান, খুনের পর দেহ লোপাটে সাহায্য করেছিল অনিতার স্বামী। তাকেও খুঁজছে পুলিশ।