অটো ও বাসের গন্ডগোলের জেরে শান্তিপুর শহর দিয়ে বাসচলাচল বন্ধ থাকায় নিত্য যাত্রী চরম দুর্ভোগে

শরীফুল ইসলাম, নদীয়া :

    অটো ও বাসের গন্ডগোলের জেরে শান্তিপুর শহর দিয়ে বাসচলাচল বন্ধ থাকায় নিত্য যাত্রী চরম দুর্ভোগে।রোববার দুপুর থেকে রানাঘাট -কৃষ্ণনগর, রানাঘাট-কানলাঘাট – রানাঘাট ভালুকা রুটের সব বাস বন্ধ।নদিয়ার সবচেয়ে ব্যস্ত বহুল রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিকল্প চলাচলের মাধ্যম হিসাবে টোটোর দৌরাত্মে নাজেহাল শহর।
    ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকাল থেকে । প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ থেকে জানা যায়, হবিবপুর অঞ্চলের কাছে সকাল ৭ টা নাগাদ কৃষ্ণনগর থেকে রানাঘাটগামী একটি যাত্রীবাহিবাসের কন্ডাক্টর যাত্রী তোলা কে কেন্দ্র করে শান্তিপুরের একটি অটো চালকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এবং মিটেও যায়। পরে বাস কর্মীর অভিযোগ , রানাঘাট থেকে বাসটি ফেরার পথে শান্তিপুর থানার মোড়ে আসতেই ওই অটো চালক বাস টি থামিয়ে ড্রাইভার কে কিলচর ঘুষি মারে। অতঃপর শান্তিপুর থানার কাছে বাস চালক বাস দাঁড় করিয়ে দেন। 

    ( Injured buss conductor)

    পর পর বাস দাঁড়িয়ে গেলে ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার আধিকারিক মুকুন্দ চক্রবর্তী যান এবং দোষী অটো চালক কে গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। শান্তিপুর থানা ওই অটো আটকও করে।  পুলিশ সূত্র, মারধরের কোনো ঘটনা কোনো তরফেই স্থানীয় থানায় লিপিবদ্ধ করা হয় নি। কিন্তু, তবু বাসমালিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেন । নদীয়া জেলা বাসমালিক সমিতির এক কর্তা জানান, অটো চালকরা প্রতিনিয়তই রুটের বাইরে গিয়ে রাজ্য পরিবহন আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যত্রতত্র যাত্রী তোলেন। এই অভিযোগ তাঁদের দীর্ঘ দিনের। মানবিকতার কারণে বিষয় টি এড়িয়ে গেলেও এদিনের ঘটনায় বাসকর্মীর মারধরের ঘটনায় বাসের কর্মীরাই বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে, শান্তিপুর মিনি মোটরস ইউনিয়ানের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় , আমাদের কেউ রুটের বাইরে যান না । অভিযুক্ত অটো চালক -এর সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ দীর্ঘদিন নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থার অচলায়তন দরুন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কাটাতে অটো ইউনিয়ন ও বাস মালিক সমিতির কর্মকর্তাদের নিয়ে শান্তিপুর থানার ওসি মুকুন্দ চক্রবর্তী উভয়ই পক্ষের ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের ডেকেছেন সমস্যার মীমাংসার জন্য আজ সন্ধ্যা ৮ টায়। সব কিছু মিটে গেলে যানচলাচল আগামী দিন থেকে স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন শান্তিপুর শহরের উপর দিয়ে চলাচল করেন এমন যাত্রী ও শহরবাসী।