নরেন্দ্রপুরে ব্যবসায়ী খুনের কিনারা করল পুলিশ , গ্রেফতার অভিযুক্ত

নরেন্দ্রপুর:—- অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত। কামালগাজির ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ । অভিযুক্তের নাম অভিজিৎ নস্কর। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৪ আগস্ট রাতে নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কামালগাজি এলাকায় বাড়ির সামনে খুন হন সাহিদ মন্ডল নামে এক ব্যবসায়ী। সাহিদ প্রতিদিনের মতনই ব্যবসার কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে তাঁর পথ আটকায় এবং গুলি চালিয়ে খুন করে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় । মৃতের পরিবার নরেন্দ্রপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।এরপর তদন্ত শুরু করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এরপর কেটে গিয়েছে কয়েক সপ্তাহ। এক সপ্তাহ পরেও অভিযুক্তরা অধরা থাকে । সেই সময় পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়। নরেন্দ্রপুর থানাতে পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখায় এবং এই বিক্ষোভ আন্দোলনের সময় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ আন্দোলনকে আরো তীব্র ও জোরালো করে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও আই এস এফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী। দোষীদের শাস্তি চেয়ে আদালতের দরজায় কড়া নাড়ে সাহিদের পরিবার। এমনকি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চায় সাহিদের বাবা শাহজাহান মন্ডল। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ নিজেদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল নিরবে। এরপর অবশেষে মিলল সাফল্য । একটি চুরি-ছিনতায়ের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নরেন্দ্রপুরের সাহিদ খুনের কিনারা করে পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনায় অভিজিৎ নস্কর নামে এক যুবক যুক্ত রয়েছে। যুবকের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। অবশেষে কুলতলী থানা এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ধৃতকে শনিবার বারুইপুর মহকুমার আদালতে তোলা হয় । তার বিরুদ্ধে খুন ও অস্ত্র আইনের মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে আদালতে পেশ করার পর নিজেদের হেফাজতের নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদনও করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসা করে এই ঘটনার সঙ্গে আরো অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করতে চলেছে পুলিশ । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান , বব্যবসায়ী সাহিদ মন্ডলকে খুন করার জন্য অন্য কেউ এই অভিযুক্তদের বরাত দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সেই ব্যাপারে এখনো পুলিশের কাছে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট নয় । অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদে পর কি কারনে সাহিদকে খুন করা হয়েছে তা জানা যাবে।