|
---|
আর এ মন্ডল,ইন্দাস : সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডে জনশ্রুতিতে পরিণত হওয়া বঞ্চিত রাস্তাটিকে পথশ্রী/রাস্তাশ্রীর স্কীমে সামিল করা হয়েছে। বাঁকুড়া – পূর্ব বর্ধমান জেলা সংযোগকারী রাস্তাটি ইন্দাস রেল ষ্টেশন থেকে চিচিঙ্গা,ফাটিকা,ছয় আনি ও রোল, গোপাল নগর গ্রামের মাঝ বরাবর এসে রোল চৌধুরী মুহাম্মাদ তৈয়ব ইনস্টিটিউটশন এর দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত-। উল্লেখ্য যে,রোল সি এম টি ইনস্টিটিউশান (উচ্চ মাধ্যমিক) বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্ব থেকেই মাটির রাস্তা।যা একেবারেই বেহাল খানা খন্দে ভরা চলাচলের অযোগ্য। রোল গ্রামের পূর্ব পাড়া,বাগান পাড়া,লক্ষণ পাড়া,কাজী পাড়া ও বাগ্দি, মুচিপাড়ার মধ্যে দিয়ে পূর্ব দিকে কিছুটা যেয়ে উত্তর দিকে সোনামুখী আর বি আই ডিভিশন এর ক্যানেল ব্রীজ পার হয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় সংযুক্ত হয়েছে। বর্ধমানের খন্ডঘোষ ব্লকের দাশপুকুর গ্রামের পশ্চিম পাশের রাস্তায় মিশেছে।যে রাস্তাটি বারিশালি ও লোদনা গ্রামেরও পশ্চিম পাশ দিয়ে বিস্তৃত হয়ে বাঁকুড়া-বর্ধমান রোডের সাথে লোদনা মোড়ে মিলিত হয়েছে।
স্বাধীনতার পূর্বোত্তর কাল থেকে এই রাস্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে গুরুত্ব থাকলেও সংস্কার হয় নাই। স্বাধীনতার পর কংগ্রেস সরকারের সময়ে নাম মাত্র কাজ হয়।তৎকালীন সময়ে রোল কাজী ও পূর্ব পাড়ার পর পুরোদস্তুর বর্ষায় খালে পরিণত হতো।বামফ্রন্টের আমলে মাটি ফেলে রাস্তার ঐ অংশ উঁচু করা হলেও বছর ঘুরতেই খানাখন্দে ভরে যায়।
এ’জামানায় মোরাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়া হয়।রাস্তার দূরবস্থা আগের মতই রয়ে গেছে।গ্রামের মানুষ পঞ্চায়েত, ব্লক ও জেলাস্তরে আবেদন জানান।কিন্ত সুরাহা হয় নাই।
প্রতি নিয়ত হাজারো মানুষের যাতায়াত ঐ রাস্তার উপর দিয়েই চলে ট্রাক্টর, মোটর বাইক/ গাড়ি ইত্যাদি।পূর্ব বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ ব্লকের ১০/১২ টি গ্রামের মানুষের স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত এবং ইন্দাস হাসপাতাল, রেল স্টেশন, রোল এর বাজারের প্রয়োজনে রাত ৯/১০ পর্যন্ত আসা যাওয়ার খামতি নাই।কারণ বর্ধমান জেলার ঐ এলাকার মানুষদের ইন্দাস রোল ২/৩ কি মি-র মধ্যে পড়ে।
পীচ রাস্তার দাবী জানানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে জানান গ্রামের মানুষ। অবশেষে সম্প্রতি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বকীয় উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে পথশ্রী প্রকল্পের স্কীম চালু হওয়ার সুবাদে এই রাস্তার দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস শেষ হতে চলেছে। ইন্দাস ব্লকে ২০টি রাস্তা,এবং জেলার প্রতিটি ব্লকের সকল গ্রাম পঞ্চায়েতেই উল্লেখ্য স্কীমে রাস্তার কাজ শুরু হচ্ছে বলে জেলার প্রশাসনিক কার্যালয় থেকে জানা গেছে। অবাক হতে হয় জেনে যে, রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশ চওড়া মাপ ৩০/৩৫ ফুটের বেশী।এলাকার মানুষদের দাবী ঢালাই নয়,পীচ রাস্তা করা হোক। সেই সাথে সোনামুখী আর বি আই ডিভিশনের মেন ক্যানেল উপর ভাঙা ব্রিজের উত্তম রূপে মেরামতির একান্ত দরকার।
ছবি–সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তার হাল এবং ভাঙা ব্রিজের বিপজ্জনক অবস্থা।