বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে পদযাত্রা রামপুরহাটে

 

    মহম্মদ রিপন ,মুরারই

    আমরা সবাই থ্যালাসেমিয়া নামটি শুনেছি কিন্তু হয়ত খুব কম মানুষ-ই আছি যারা এর সাথে সম্পূর্ণভাবে পরিচিত। থ্যালাসেমিয়া হলো রক্তের এক ধরনের অসুস্থতা যা বংশগতভাবে আমাদের আক্রমণ করে।বুধবার বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে বীরভূমের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে রামপুরহাট শহরে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা বাড়াতে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। এই পদযাত্রার উদ্যোক্তা ছিলেন বীরভূম ব্লাড ভলান্টিয়ার্স ফোরাম। সাথে বীরভূমের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। শুধু বীরভূম জেলার নয় বাইরের বেশ কয়েকটি জেলার প্রতিনিধিরাও এই পদযাত্রায় সচেতনতা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। এই অনুষ্ঠানে রক্ত আন্দোলনের সাথে যুক্ত বহু যোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হলো নুরুল হক, পার্থপ্রতিম গুহ, সুমন মজুমদার, রাজেশ মিশ্রা, বদিউজ্জামান, আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক সব্যসাচী ইসলাম, আজিজুল হক,মেহেবুব হক, রবিউল শেখ, আরিফ শেখ আবদুল মান্নান, মনোয়ারুল ইসলাম এছাড়াও প্রমুখ ব্যক্তিত্ব। এদিনের এই থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা পদযাত্রায় থ্যালাসেমিয়ার সম্পর্কে আলোচনা করা হয় ।
    থ্যালাসেমিয়ার কারণে আমাদের শরীর সামান্য কিছু স্বাস্থ্যকর লাল রক্ত কণিকা উৎপন্ন করে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে কম পরিমাণ হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। হিমোগ্লোবিন হল লাল লোহিত কনিকায় নিহিত এক ধরনের প্রোটিন যা অক্সিজেন বহন করে। হিমোগ্লবিন লাল লোহিত কনিকার খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রত্যেক মানুষ-ই হয় নরমাল না হয় থ্যালাসেমিয়া মেজর অথবা থ্যালাসেমিয়া মাইনরের অধিকারী হয়ে থাকেন। থ্যালাসেমিয়া মেজর তখন হয় যখন শিশু বাবা মা ২জনের কাছ থেকে ১টি করে মিউটেডেড জিনের অধিকারি হয়। এসব শিশুরা স্বাভাবিক, পরিনত হিমোগ্লোবিন তৈরিতে অক্ষম থাকে। থ্যালাসেমিয়া ট্রেইটকে মাঝে মাঝে থ্যালাসেমিয়া মাইনর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এরা বাবা মা যেকোনো একজনের কাছ থেকে ত্রুটিপূর্ণ জিন গ্রহন করে। থ্যালাসেমিয়া মাইনর থ্যালাসেমিয়া মেজর থেকে অনেকটা নিরাপদ। থ্যালাসেমিয়ার কারণে অ্যানেমিয়া-ও দেখা দিতে পারে।


    পদযাত্রায় উপস্থিত এক সদস্য জানান একটি থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সমাজ গড়তে হলে আমাদের সবাইকে এখনই এগিয়ে আসতে হবে যে যার অবস্থান থেকে। সঠিক তথ্যটি পাশের মানুষটিকে জানাতে হবে যেন সে নিজেই সচেতন হয়। এখন খুব সহজেই হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফরেসিসের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়ার বাহক শনাক্ত করা যায়। আসুন নিজে বাহক কিনা সেটা আগে জানি। অন্যকে জানতে উৎসাহিত করি। সে অনুযায়ী জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পরামর্শ দিই এবং তিনি আরো জানান সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে অনুরোধ আপনারা আসুন আমরা রক্ত আন্দোলনে শামিল হয় রক্তদান করি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাচ্চাদের জন্য।