দারিদ্র মুসলিম মেয়ে ফিনাজ খান ক্যান্সারের ঔষধ আবিষ্কার করে বাংলার নাম উজ্জ্বল করলো বিশ্ব দরবারে।

আনিস খান, নতুন গতি : কলকাতা বেলগাছিয়ার সাবান বিক্রেতা দরিদ্র দিনমজুর বাবা মোঃ সেলিমউদ্দিন এর বড়ো কন্যা ফিনাজ খান বাচ্চা বেলা থেকে বরাবরি পড়াশুনায় মেধাবী। কলুতলা এম জি রোড এর মোঃ জান হাই স্কুল(উঃ মাঃ) থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০১২ শিক্ষাবর্ষে রেকড করা নাম্বার নিয়ে উত্তীর্ণ হয়। কষ্টের সাথে ও খারাপ আর্থিক অবস্থার সাথে লড়াই করে গুরুদাস কলেজ ৫২% নাম্বার নিয়ে কেমিস্ট্রি অনার্সে বি এসসি পাশ করেন। এরপর উচ্চশিক্ষায় নিজের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপের জন্য বাধা তৈরি হয়। কিন্তু সাবান বিক্রেতা উচ্চ মাধ্যামিকে অনুত্তীর্ণ বাবার প্রচেষ্টায় ও কঠিন রোগে আক্রান্ত চতুর্থ শ্রেণী উত্তীর্ণ মায়ের উৎসাহে কলকাতা নিউ টাউন এর অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এসসি তে ভর্তি হন ফিনাজ খান। একবছর পড়ার পর পড়াশোনা থামিয়ে দেওয়ার কথা ভাবেন আর্থিক অভাবের জন্য। কিন্তু ফিনাজ খানের ভিতরের মনের জেদ কোনরকম হার মানতে দেয়নি। এমত অবস্থায়  পার্ক সার্কাসের আল্বেনি হোল পাবলিক স্কুলে কেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষকতা করার ডাক পান। এই পাবলিক স্কুলে শিক্ষকতার সাথে সাথে এম এসসি পড়াশোনা করতে থাকেন এবং সাথে সাথে গাইড পান নতুন কিছু করার। সেখানে থেকেই শুরু হয় ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কার করার পথ। এই অবস্থাই অ্যামিটিড় গাইড লাইন এর সাথে সাথে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হারুন আল রসিদ গাজির সহযোগিতায় কান্সার টিকা করনের গবেষণা শুরু করে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং অল্প দিনে নিজের গবেষণার ফলাফল বিশ্বদরবারে জায়গা করে নেয়। এবার ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীরা ও তাদের পরিবার রা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখবেন এই ওষুধ আবিষ্কারের ফলে। এখন ফিনাজ খানের স্বপ্ন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি এইচ ডি করে অধ্যপক হওয়া এবং মুসলিম সমাজের পিছিয়ে পরা মহিলাদের সামনের সারিতে তুলে আনা ও তাদের আধুনিক সিক্ষা সম্পর্কে সচেতন করা। এবং ফিনাজ খান আমাদের প্রতিনিধি কে ফনে সাক্ষাতে জানান ফিনাজ খানের পরিবার অর্থের অভাবে ভুগছে। তার দই বোন শারমিন খান ও দিলসাজ খান, একজন ভিক্টোরিয়া কলেজে রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং অন্য জন এ্যাডামাস কলেজে বায়োটেকনোলোজির প্রথম বর্ষের ছাত্রী এবং আর্থিক অবস্থা খারাপ এর মধ্যেও কঠিন লড়াই করে পড়াশোনা করে যাছে। স্থানীয় কাউন্সিলার থেকে সুরু করে এম এল এ এবং এম পি কোনও জনপ্রতিনিধি কোনরকম ভাবে পাসে এসে দাঁড়ায়নি। ফিনাজ খান ও তার পরিবার এই সমাজের কাছে ও সরকারের কাছে এবং সেচ্ছাসেবি সংস্থার কাছে অনুরধ জানিয়েছে আর্থিক সাহায্যে করে পরিবারের পাসে দাঁড়ানোর। ফিনাজ খান ও তার দুই বোন উচ্চসিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মুসলিম পিছিয়ে পরা মেয়েদের যাতে আগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং দেশকে প্রতিবন্দির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে ।