বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক ঘেরাও মুক্ত, যদিও আন্দোলনে অনড় পড়ুয়ারা

সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম: দীর্ঘদিন অতিমারি করোনার জেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ।সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি শিথিল হতেই অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ও সমস্ত ভবন খুলে যায় কিন্তু ছাত্রাবাসগুলি খোলেনি ৷ দূর-দূরান্ত থেকে আসা বহু পড়ুয়াদের ছাত্রাবাসে থেকেই পড়াশোনা করতে হয়,কিন্তু ছাত্রাবাস না চালু হওয়ার জন্য বাইরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে যাহা খরচ সাপেক্ষ।তাই ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে কয়েক দিন ধরেই দফায় দফায় আন্দোলন, ডেপুটেশন কর্মসূচি চলছিল পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে।

    গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে হোস্টেল খোলার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা বিশ্বভারতী চত্ত্বর । আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবন, কলাভবন, পাঠভবন, শিক্ষাভবন-সহ একাধিক বিভাগের পঠন-পাঠন বন্ধ করে দেয় ৷ বিভিন্ন বিভাগের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলতে থাকে। পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মসচিবের দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে জমায়েত হন আন্দোলনকারীরা । সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় শুরু হয় পড়ুয়াদের । ছাত্রীদের পোশাক ছিঁড়ে যায় ধ্বস্তাধস্তিতে বলে অভিযোগ৷পরে কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ, সম্পত্তি আধিকারিক অশোক মাহাতোকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা ৷

    আন্দোলনকারীদের দাবি না মানায় রাতভোর ঘেরাও করে রাখা হয় তিন আধিকারিককে। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় ঠিক ২৪ ঘণ্টা পর ঘেরাও মুক্ত হলেন বিশ্বভারতীর কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ, সম্পত্তি আধিকারিক অশোক মাহাতো ।

    আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের তরফে আধিকারিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা ঘেরাও হয়ে নেই, যেকোন জায়গায় যেতে পারেন, নিজেদের কাজ করতে পারেন ।তিন আধিকারিক ঘেরাও মুক্ত হলেও হোস্টেল খোলার দাবিতে আন্দোলনে অনড় বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা।