বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে  ইংরেজবাজার পুরসভা ঘেরাও এবং শহরের প্রাণকেন্দ্র নেতাজি সুভাষ রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ

মালদা, ০৭ আগস্ট।  বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে  ইংরেজবাজার পুরসভা ঘেরাও এবং শহরের প্রাণকেন্দ্র নেতাজি সুভাষ রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো নর্থবেঙ্গল বাসফোর হরিজন ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের শতাধিক সদস্যরা। বুধবার বিকালে পুরসভা সংলগ্ন এলাকার সড়ক অবরোধ করেন ওই সংগঠনের পুরুষ – মহিলা সদস্যরা। একগুচ্ছ দাবি-দাওয়ার বিষয়টি নিয়েও সরব হন ওই সংগঠনের শতাধিক সদস্যরা।

    ওই সংগঠনের দাবি, অস্থায়ী থেকে স্থায়ীকরণ। বেতন বৃদ্ধি এবং হরিজন সম্প্রদায়ের যারা সুইপারের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন, তাদেরকে নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার এর ক্ষেত্রে প্রটেকশন দেওয়ার দাবি করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ ও অবরোধ ।পরে পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে একটি ডেপুটেশনের কপি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। এই বিক্ষোভ অবস্থানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। শহরের প্রাণকেন্দ্র নেতাজী সুভাষ রোড এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভ,  অবরোধ পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ । পরে পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বিষয়টি তুলে ধরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।

    নর্থ বেঙ্গল বাসফোর ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের আহ্বায়ক লব কুমার মল্লিক বলেন , দীর্ঘদিন ধরে সুইপারের কাজে নিযুক্ত অনেক কর্মীরা অস্থায়ী ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের স্থায়ীকরণের দাবি করা হয়েছে। মাত্র ১৮০ টাকা দিন হিসাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিকাশি নালায় নেমে কাজ করতে হয় কর্মীদের । এক্ষেত্রে তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে । পাশাপাশি কর্মসূত্রে যাদের বাবা অথবা মায়েরা মারা গিয়েছেন। তাদের উত্তরাধিকারী সূত্রে ছেলে-মেয়েদের চাকরির স্থায়ীকরণ করা উচিত । এর পাশাপাশি হেলথ কার্ড এর প্রয়োজন। যারা সুইপারের কাজ করেন, তাদের হ্যান্ডগ্লাভস ,হ্যান্ড ওয়াস দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে । কারণ,  প্রত্যেকেই মানুষ । মানবিকতার খাতিরে পুরসভাকে এসব বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।

    লবকুমারবাবু আরও বলেন,  এর আগেও বিভিন্ন দাবি নিয়ে পুরসভা ও প্রশাসনের কাছে বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল । এদিনও একই ভাবে সেই আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমাদের দাবি দাওয়া না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হতে বাধ্য হবো।

    ইংরেজবাজার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,  পুরো বিষয়টি রাজ্য সরকারের পুরো ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।