|
---|
শরিফুল ইসলাম, নতুন গতি ডেস্ক:
জম্মু-কাশ্মীর পুলওয়ামায় অতর্কিতে জঙ্গি হানা কাণ্ডে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যথেষ্ট ফাঁক-ফোঁকর ছিল, শহীদ সুদীপ বিশ্বাসের নিকট আত্মীয় একথা আগেই বলেছিলেন।
আর এক শহীদের স্ত্রীর কণ্ঠে একই সুর প্রতিধ্বনিত হয়েছিল।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে স্বভাবসিদ্ধ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া থেকে বিরত থাকলেও পরবর্তী পরিস্থিতে শহীদ জওয়ানদের মৃতদেহ নিয়ে রাজনৈতিক সহানুভূতির আদায়ের কেন্দ্রীয় চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেন।
পথ ও মত আলাদা হলেও সেই পথেই এবার পুলওয়ামা কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সরকারকেই কার্যতঃ কাঠ গড়ায় তুললেন প্রথিতযশা প্রখ্যাত আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
আগাগোড়া স্পষ্টবাদী বামপন্থী এই মানুষটি এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর নিজস্ব নির্ভীক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অভিরুচির পরিচয় দিয়ে অনেকের গাত্রদহের কারণ হয়েছিলেন। এবারও পুলওয়ামা কাণ্ডে নির্ভীক ও যুক্তিনিষ্ঠ মতামত দিলেন।
এদিন, সাংবাদিকদের সামনে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জঙ্গি হামলা প্রসঙ্গে সাজানো চিত্র-নাট্য’র ইঙ্গিত দিয়ে জানালেন, ” সদ্য পার্লামেন্ট সেশন শেষ হয়ে গেল। এবার নির্বাচনের দিন ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা। হটাৎ , খবর , দেশের ৪৩ জন আধাসেনা জওয়ান জঙ্গি হানায় মারা গেছেন।”
তিনি কোর্টে জজের সামনে পেশাদারি সওয়াল-জবাব এর মতোই, কেন্দ্র কে কার্যত কাঠ গড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচারকের (পড়ুন দেশের মানুষ) কাছে প্রশ্ন তোলেন, “সেদিনের হামলায় ব্যাবহৃত তিনশ কেজি আর ডি এক্স এলো কোথা থেকে ?” এখানেই না থেমে তিনি
তিনি আরো জানান, ” কাশ্মীর উপত্যকা সম্পর্কে যাঁদের বিন্দু মাত্র অভিজ্ঞতা আছে তাঁরা জানেন, ওখানে এক বাড়ি থেকে আর এক বাড়ি যেতে গেলেও জানাতে হয়, কোথা থেকে এসেছেন , কেন , কোথায় যাবেন। সর্বত্র মিলিটারি ।”
এবার বিকাশ বাবু , একটু অনুযোগের সুরেই বলেন, ” মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গি ঘোরানোর জন্যই ঘটনার পর দুম করে একটা হামলা করে দিলাম। এ যেন ছেলে খেলা।”
উল্লেখ্য, পুলওয়ামা কাণ্ডের পাল্টা হিসাবে পাকিস্তান আক্রমণ এবং ওখানকার বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস সমেত তিনশ জঙ্গি নিকেশ করা গেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারে এই দাবি কে নস্যাৎ করে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য’ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম কে হাতিয়ার করে বলেন, “কোনো ঘাঁটিতে কোনো আক্রম হয় নি। ফাঁকা জায়গায় বোম ফেলে আসা হয়েছে।”
তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় একথাও বলেন, ” ভুলে যাবেন না , কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। যা প্রকারান্তে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন। পুলওয়ামা কাণ্ডের তদন্ত হলেই বেরিয়ে আসবে কারা এই কাণ্ডে দোষী। তদন্ত হউক। তদন্ত করছেন না কেন ? এর প্রকৃত তদন্ত না করার অর্থ , সন্ত্রাসবাদ কে প্রশ্রয় দেওয়া।”